সময় মতো ট্রেন চলাচল করানোর প্রতি দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করে এনএফআর সেই দিন ১৩৮টি মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন চালিয়েছিল, সেগুলির মধ্যে ১৩২টি ট্রেন সঠিক সময়ে চলেছিল। এই ভাবে সময়ানুবর্তিতার ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় ৯৫.৬৫ শতাংশ অর্জন করা হয়েছে।
এই কৃতিত্ব অর্জনের পিছনে প্রধান যে-কারণটি কাজ করেছে সেটি হল এই যে এনএফআর জোনের মধ্যে অবস্থিত প্রায় সমস্ত প্রধান-প্রধান স্টেশনে সিওএ (কনট্রোল অফিস অ্যাপ্লিকেশন) ইন্ডিগ্রেটেড ডেটা লগার সিস্টেমের সফল রূপায়ণ। এই সিস্টেমের সাহায্যে রিয়্যাল-টাইম ট্র্যাকিং ও ট্রেন চলাচলকে বিশ্লেষণ করা যায়। তার ফলে অনেক ভাল করে সমন্বয় রক্ষা করা যায় এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। সেই জন্যই ট্রেন নিশ্চিত ভাবে সঠিক সময়ে চলাচল করতে পারে।
advertisement
পারদর্শিতাকে আরও বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে এনএফআর সক্রিয় ভাবে আরও উন্নত সিস্টেমে তার আপগ্রেড করার কাজ করে চলেছে। যার থেকে পাওয়া যাবে উন্নত অটোমেশন, অনুমান ভিত্তিক বিশ্লেষণ ও আরও ভাল অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ। এইসব অগ্রগতির ফলে ট্রেনের সময়সূচি আরও ভাল করা, বিলম্ব হ্রাস করা এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যকে উন্নত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা যাবে।
এনএফআর এই মাইল ফলক স্পর্শ করায় বোঝা গেল, ট্রেন বিলম্ব হওয়ার ঘটনাকে নিশ্চিত ভাবে কম করে এবং অপারেশন সংক্রান্ত কার্যকারিতাকে উন্নত করে যাত্রীদের অবিরাম সফরের অভিজ্ঞতা প্রদান করার জন্য এনএফআর অটল নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করে। উল্লেখযোগ্য এই পারদর্শিতায় সমস্ত রেলওয়ে স্টাফ, লোকো পাইলট ও অপারেশনাল টিমের সমন্বিত প্রয়াসই প্রতিফলিত হল।
তাঁরা ট্রেনের সময়ানুবর্তিতায় উচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখার জন্য অনলস ভাবে কাজ করতে থাকেন। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, আসন্ন মাসগুলিতেও এই ধারাকে বজায় রাখার জন্য এবং নিজেদের র্যাঙ্কিংকে আরও ভাল করার জন্য এনএফআর অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে আছে।
যাত্রীদের থেকে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য তাঁদের প্রতি এনএফআর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এবং সমগ্র অঞ্চলে সুরক্ষিত, বিশ্বস্ত ও সময় মতন ট্রেন পরিষেবা প্রদান করার জন্য আরও একবার শপথ নিয়েছে।