২০২৩-এর জুন মাসে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে একাধিক ট্র্যাক নবীকরণের কাজ ও অন্যান্য ট্র্যাক সুরক্ষার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে রেলওয়ে ট্র্যাকের উপযুক্ত অবস্থা বজায় রাখা যায়। যার ফলে রেল যাত্রীদের উন্নত আরামের পাশাপাশি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ট্রেন যাত্রার ব্যবস্থা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত! বাংলায় কতটা প্রভাব? কলকাতায় বাড়বে দুর্যোগ, আবহাওয়ার বড় আপডেট!
advertisement
২০২৩-এর জুন মাসে ১১.৪২ ট্র্যাক কিলোমিটার থ্রু স্লিপার নবীকরণ সম্পন্ন করা হয়েছে, যার ফলে ৩০.৪৫ ট্র্যাক কিলোমিটার পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ঘটেছে। জুন, ২০২৩ মাসে ৫.২৫টি সমতুল্য সেটের থ্রু টার্নআউট নবীকরণ সম্পন্ন করা হয়, যার ফলে সংশ্লিষ্ট মাসে ২২.২৫ সেট পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ঠিক কবে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে চন্দ্রযান-৩? জবাব দিলেন ইসরো প্রধান
এছাড়াও ২০২৩ সালের জুনে ইউএসএফডি (আল্ট্রা সোনিক ফ্ল ডিটেকশন) প্রযুক্তি দিয়ে ১৭৩০.৯২ কিমি ট্র্যাক পরীক্ষা করা হয়েছে। ইউএসএফডি প্রযুক্তির দ্বারা ফাটলের মতো ত্রুটি শনাক্ত করা হয় এবং সুরক্ষার জন্য সময়মতো ত্রুটিযুক্ত রেল সরিয়ে ফেলা হয়। পাশাপাশি ২০২৩-এর জুন মাসে ০৩টি ইএসপি (ইঞ্জিনিয়ারিং স্কেল প্ল্যান) ও ১৮টি সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন প্ল্যান অনুমোদিত হয়েছে।
ফ্ল্যাশ বাট ওয়েল্ডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ৩৪২টি রেল জয়েন্টের ওয়েল্ডিং করা হয়েছে, যার ফলে মোট ২৪০৫টি পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ঘটেছে। এর পাশাপাশি, এই সময়সীমার মধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে বিভিন্ন ক্ষমতার ৬৮৪টি সিগন্যালিং ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
উত্তর-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, নিয়মিত বিরতিতে ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণ করার ফলে ট্রেনের মসৃণ পরিচালনা সম্ভব হয়েছে এবং যাত্রীদের উন্নতমানের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাও প্রদান করা হচ্ছে। রেলওয়ে ট্র্যাকের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থার উপর বর্ধিত গুরুত্ব প্রদান করার ফলে গতি বৃদ্ধি ও উন্নত ভ্রমণ অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ট্রেনের নিরাপদ চলাচলও সম্ভব হয়েছে।