এই বর্ষাকালে ট্র্যাকের সুরক্ষা এবং স্থিতিশীলতা মোকাবেলা করার জন্য, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সমস্ত সংবেদনশীল স্থানে স্থায়ী প্রহরী মোতায়েন করেছে, বিশেষ করে লামডিং-বদরপুর হিল সেকশন এবং ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে গুরুত্বপূর্ণ সেকশনে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাক এবং পরিকাঠামোগত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অ্যাডিশনাল জেনারেল ম্যানেজার এবং ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার-সহ বরিষ্ঠ আধিকারিকরা ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। কঢ়া নজরদারি নিশ্চিত করার জন্য আধিকারিক দ্বারা ট্রলি টহল দেওয়া হচ্ছে এবং নিয়মিত পরিদর্শন করা হচ্ছে। গ্রাউন্ড লেভেল নজরদারি আরও জোরদার করার জন্য, সংবেদনশীল স্থানগুলি পুঙ্খানুপূঙ্খ পর্যবেক্ষণ করার জন্য এবং প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করার জন্য বরিষ্ঠ আধিকারিকদেরকেও নির্দিষ্ট স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে।
advertisement
এছাড়াও, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ভূমিধস, জল নিষ্কাশন সমস্যা এবং বাঁধের স্থিতিশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে- লামডিং-বদরপুর হিল সেকশনের ৮০ কিলোমিটার অঞ্চলে ড্রোন-ভিত্তিক লিডার (লাইট ডিটেকশন অ্যান্ড রেঞ্জিং), হাই-রেজোলিউশন এরিয়াল ইমেজিং এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সার্ভে। এই প্রযুক্তিগুলি ভূগর্ভস্থ ত্রুটি এবং জলাবদ্ধ এলাকাগুলির শীঘ্রে সনাক্তকরণকে সহজতর করে, ফলে সম্ভাব্য বিপদগুলি হ্রাস করার জন্য পূর্ব নির্ধারিতপদক্ষেপগুলি সম্ভব হয়ে উঠে।
অতিরিক্তভাবে, অধিকতম বৃষ্টিপাতের সময় টানেলের সুরক্ষা এবং কাঠামোগত পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলিতে টেরেস্ট্রিয়াল লেজার স্ক্যানিং (টিএলএস) চালু করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, প্রতিকূল আবহাওয়া সত্ত্বেও, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এই অঞ্চলে সুরক্ষিত এবং নির্ভরযোগ্য রেল যোগাযোগ বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।