৪০: এটি প্রতিটি টাওয়ারে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত ফ্লোর সংখ্যা ছিল ৪০। আদালতের বাধার কারণে সবটা নির্মাণ করা যায়নি। কিছু নির্মাণ বিস্ফোরণে ভেঙে ফেলার আগে এমনিই ভেঙে ফেলা হয়। এখন অ্যাপেক্স বিল্ডিংয়ে মোট ফ্লোর সংখ্যা ৩২। সিয়ানে রয়েছে ২৯ টি ফ্লোর। পরিকল্পনা ছিল ৯০০ টিরও বেশি ফ্ল্যাট তৈরি, যার দুই-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই বুক করা বা বিক্রি করা হয়েছে। সুদসহ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
advertisement
১০৩ মিটার: এটি অ্যাপেক্স টাওয়ারের উচ্চতা; সিয়ানের উচ্চতা ৯৭ মিটার। এই টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলতে চলেছে এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং। এডিফিস ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে চুক্তি করেছে যারা তিন বছর আগে জোহানেসবার্গে একটি ১০৮ মিটার উঁচু একটি ব্যাঙ্কের বিল্ডিং ভেঙেছিল। এর আগে ২০২০ সালে কেরলে ৬৮ মিটারের একটি বিল্ডিং ভাঙা হয়।
আরও পড়ুন- বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যাবে টুইন টাওয়ার, মধ্যরাতে নয়ডায় শেষ সেলফি তোলার ধুম মানুষের
৮ মিটার: টুইন টাওয়ার সংলগ্ন কিছু অ্যাপার্টমেন্ট ঠিক ৮ মিটার দূরে অবস্থিত। ৯-১২ মিটারের মধ্যে আরও কয়েকটি বিল্ডিং রয়েছে। ধুলো যাতে না ঢোকে তাই সেগুলোকে বিশেষ কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
৩,৭০০ কেজি: পিলারের প্রায় ৭,০০০ গর্তে এই পরিমাণ বিস্ফোরক ঢোকানো হয়েছে। ২ মিটার করে লম্বা এই গর্তগুলি। মানে ১৪ কিমি গর্তে বিস্ফোরক ভরা। সবটাকে একত্রিত করতে, ২০,০০০ সার্কিট বসানো। এমনভাবে বিস্ফোরণ হবে যে টাওয়ারগুলি সোজা নীচে পড়ে যাবে— একে ‘জলপ্রপাত কৌশল’ বলে।
৯ সেকেন্ড: এই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাটি ঘটবে মাত্র ৯ সেকেন্ডে! আফ্রিকার তিনজন বিশেষজ্ঞ এবং কিছু অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও মোট প্রায় ১০ জন কমপক্ষে ১০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকবেন। গ্রেটার নয়ডা এক্সপ্রেসওয়েতে বিস্ফোরণের আগে এবং পরে ১৫ মিনিট অর্থাৎ ২.১৫ থেকে ২.৪৫ পর্যন্ত আধ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন- ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ঠাসা হবে ট্যুইন টাওয়ারে, বহুতল গুঁড়িয়ে দেওয়ার অপেক্ষা শুরু
১২ মিনিট: ধুলো থিতু হতে সময় লাগবে ১২ মিনিট। বাতাসের গতি স্বাভাবিক না হলে সময় কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। এর পরে, শ্রমিকরা পার্শ্ববর্তী বিল্ডিংগুলি পরীক্ষা করবেন এবং অবিলম্বে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু করবেন। ৫৫,০০০ টন (বা ৩,০০০ ট্রাক) ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে তিন মাস পর্যন্ত সময় লাগবে।
৭০০০: সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের প্রায় ১৫০টি পোষ্য প্রাণী এবং ২,৫০০ যানবাহন সহ আজ সকাল ৭ টার মধ্যে অন্যত্র চলে যেতে হবে। অনেকেই ছুটিতে গিয়েছেন কাছাকাছি উত্তরাখণ্ডের পাহাড়ে। অন্যরা আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে থাকছেন। বিকেল ৪ টের মধ্যে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ আবার চালু করা হবে, এবং বাসিন্দাদের বিকেল ৫.৩০ টার মধ্যে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হবে।