ওরা ছোট৷ যে বয়সে সবই লাগে অবাক করা৷ আর এ তো সত্যিকারের অবাক৷ ওদের একজন আরেকজনকে বুঝিয়ে দিচ্ছে সবটা৷ নিরাপদ দূরত্বে থেকে যাতে এই ধ্বংসলীলা প্রত্যক্ষ করতে পারে সেই জায়গাও বেছে নিয়েছে নিজেরাই৷ শোভাযাত্রা দেখার আগে যেমন জায়গা নির্বাচন হয় এ যেন তেমনই৷
আরও পড়ুন- রবিবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠবে নয়ডা, মাটিতে মিশে যাবে জোড়া বহুতল! কেন এই নির্দেশ?
advertisement
আরও পড়ুন- ৯ সেকেন্ডে গুঁড়িয়ে যাবে নয়ডার টুইন টাওয়ার! মাত্র ১২ মিনিটেই থিতিয়ে যাবে ধুলো!
পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। সংবাদমাধ্যম, ভিড়। অ্যাম্বুল্যান্স- এমন দৃশ্য ওরা আগে টিভির পর্দাতেই দেখেছে৷ শিশুদের মধ্যে উত্তেজনা স্পষ্ট চোখে পড়েছে৷ শনিবার মধ্যরাতে বাবার কোলে করে এসেছিল রিয়া, ঘুমে চোখ প্রায় ঢুলে এলেও তাঁকে শেষবার এই টুইন টাওয়ার দেখাতে নিয়ে এসেছে বাবা। ৬ বছর বয়সী রিয়ার কথায়, “আমাকে বলেছে এখানে কাল দুপুরে বিস্ফোরণ ঘটবে।” সঙ্গে এসেছেন রিয়ার মা’ও। মোবাইল ফোনে টুইন টাওয়ারের শেষ ছবি ক্যামেরাবন্দি করছিলেন তিনি। ১১০ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা হিলাল আহমেদও তাঁর পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি জানান, এই টাওয়ার ভেঙে ফেলার ঘটনাটি নিয়ে মিশ্র অনুভূতি রয়েছে তাঁর। “খুব খুশিও হচ্ছি না আবার খুব কষ্টও হচ্ছে এমনও না,” বলেন হিলাল।
আরও পড়ুন- বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যাবে টুইন টাওয়ার, মধ্যরাতে নয়ডায় শেষ সেলফি তোলার ধুম মানুষের
“আশপাশের বিল্ডিংগুলির জন্য বিষয়টি বেশ ভয়ের। এই টুইন টাওয়ার বিল্ডিংয়ের এটাই শেষ দিন, সেই জন্যই আমরা সবাই এখানে এসেছি। এটি নির্মাতাদের জন্যও একটি বার্তা যে অন্যায় হলে শাস্তি হবেই। বার্তাটি প্রয়োজন,”বলেন হিলাল আহমেদ। নয়ডার বাইরের মানুষও হাজর হয়েছিলেন গভীর রাতে। বছর কুড়ির আগম শর্মা হরিয়ানার যমুনা নগর থেকে এখানে আসেন। এখানেই আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে থাকছেন তিনি। এমন মধ্যরাতও আগে দেখেনি নয়ডার সেক্টর 93-A।