শাহদরার রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারের স্ত্রী দিল্লির ওই মহিলা রবিবার গিয়েছিলেন নয়ডার মল অফ ইন্ডিয়াতে। তাঁর হাতে শোভা পাচ্ছিল একটি হিরের আংটি। যার মধ্যে ৭০টি হিরে খোদাই করা রয়েছে। ফলে আংটির দাম প্রায় ৫ লক্ষ টাকা। মলের শৌচাগারে সন্তানের ডায়াপার বদলাতে গিয়েই ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা। খোওয়া যায় বহুমূল্য আংটি। ঘটনার কথা বুঝতে পেরেই মহিলা এবং তাঁর স্বামী এমার্জেন্সি নম্বর ১১২ ডায়াল করেন। এর পর আংটি উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে খুঁজে পায় আংটিটি।
advertisement
আরও পড়ুন : দগ্ধ কলকাতায় স্বস্তির বৃষ্টি কবে, কেনই বা এত দেরি করছে বর্ষা, জানুন আবহাওয়ার মতিগতি
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বোঝা যায়, ওই মহিলা শৌচাগারে গিয়ে আংটি খুলে তা বেসিনের পাশে রেখেছিলেন। কিন্তু তা ফের পরতে ভুলে যান। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সময় শৌচাগারে আরও এক মহিলা ছিলেন। ব্যবসায়ীর স্ত্রী ওই মহিলাকে আংটি পেয়েছেন কি না জিজ্ঞেস করতেই ওই মহিলা সরাসরি না বলে দেন। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ব্যবসায়ীর স্ত্রী আংটি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ জানালে পুলিশকর্মীরা ডিএলএফ মলে পৌঁছন। সেই সময় মল বন্ধ করার তোড়জোড় চলছিল। তবে বন্ধের মুখেই মলের সম্ভাব্য সব জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু তা পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যমের কাছে নয়ডার এসিপি রজনীশ ভার্মা জানান, এর পর মলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা শুরু হয়। রবিবার মলে এমনিতে ভিড় হয়। কিন্তু ঘটনার সময় ভিড় তেমন ছিল না। ফলে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, শৌচাগারে যে অন্য এক মহিলা ছিলেন, তিনিই আংটিটি চুরি করে মল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। মলের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে মহিলার গাড়ির নম্বর দেখে তাঁর ঠিকানা খুঁজে বার করে পুলিশ। দিল্লির গণেশনগরের বাসিন্দা ওই মহিলার বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। অবশেষে সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ উদ্ধার হয় বহুমূল্য আংটি। ওই দিন সকালেই সমস্ত অফিসিয়াল প্রক্রিয়া সম্পাদন করে তা তুলে দেওয়া হয়েছে আসল মালিকের হাতে।