জাতীয় নিরাপত্তা আইনে সোনম ওয়াংচুকের গ্রেফতারির প্রতিবাদ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন তাঁর স্ত্রী৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আনজারিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে এ দিন সোনম ওয়াংচুকের স্ত্রীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানিও শুরু হয়৷
কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতকে জানান, যে আদেশের উপর ভিত্তি করে সোনম ওয়াংচুককে গ্রেফতার করা হয়েছে তার প্রতিলিপি ধৃত সমাজকর্মী এবং তাঁর পরিবারকে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও ওয়াংচুকের স্ত্রীর আইনজীবী কপিল সিব্বল পাল্টা দাবি করেন, এ রকম কোনও নির্দেশের প্রতিলিপি ওয়াংচুক অথবা তাঁর পরিবারকে দেয়নি পুলিশ৷ এই মুহূর্তে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি রয়েছেন সোনম ওয়াংচুক৷ সোনম ওয়াংচুককে এই পদ্ধতিতে গ্রেফতারির বিরোধিতা করেন সিব্বল৷
advertisement
বিচারপতি অরবিন্দ কুমার অবশ্য জানান, যে নির্দেশের উপরে ভিত্তি করে সোনম ওয়াংচুককে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই নথি অবশ্যই হাতে পাবেন ধৃত সমাজকর্মীর স্ত্রী৷ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৪ অক্টোবর৷
গত মাসের শেষ দিকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অশান্ত হয়ে উঠেছিল লাদাখ৷ অশান্তির জেরে মৃত্যু হয় চার জনের৷ এর দু দিনের মধ্যেই গত ২৬ সেপ্টেম্বর সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুককে গ্রেফতার করেন লেহ-র কমিশনার৷ জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ৩(২) ধারায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়৷ গ্রেফতারির পর তাঁকে যোধপুরের সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়৷ স্বামীর এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে এবং অবিলম্বে ওয়াংচুকের মুক্তি দাবি করে গত ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ধৃত সমাজকর্মীর স্ত্রী গীতাঞ্জলি আংগমো৷