অর্থমন্ত্রকের তরফে ট্যুইটে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, চেক বই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার কোনও প্রস্তাব তাদের কাছে আসেনি ৷ এই নিয়ে কোনও পরিকল্পনাই করছে না অর্থমন্ত্রক ৷
গত ১৬ নভেম্বর পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কনফিডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের এক প্রবীণ আধিকারিক প্রবীণ খান্ডেলওয়াল জানান, ‘ডিজিটাল লেনদেনকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করতে, খুব শীঘ্রই হয়তো কেন্দ্রের তরফে চেক বই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে। ডিজিটাল লেনদেন নিয়ে মানুষকে আরও বেশি সজাগ করতে সরকারের উচিত ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট আরও সহজ করে দেওয়া।’
advertisement
নোট ছাপাতে সরকারের এখন ২৫ হাজার কোটি টাকা মতো খরচ হয় এবং সেই নোটের নিরাপত্তার জন্যে প্রায় ছ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়। এই পুরো খরচ কমাতে এবং ডিজিটাল পেমেন্টকে মানুষের মধ্যে আরও জনপ্রিয় করতে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহারে আরও সরলীকরণ প্রয়োজন, মত খান্ডেলওয়ালের।
খান্ডেলওয়ালের এই বক্তব্যের পরই জল্পনা তৈরি হয়, নোটবাতিলের পর এবার চেক বাতিলের পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার ৷
২০১৬ সালে নভেম্বর মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার ও সঙ্গে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার তৈরির স্বপ্নে মোদির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তোলপাড় উঠেছিল ভারতীয় রাজনীতি ৷ ফের চেক বাতিলের সম্ভাবনার খবর নিয়ে আশঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ ৷