বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নাকি তাঁকে জানিয়েছেন, এরপর থেকে আর রাশিয়ার থেকে তেল কিনবে না ভারত৷ পাশাপাশি জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে মস্কোকে অর্থনৈতিক ভাবে একঘরে করার ক্ষেত্রে এটি একটি বিরাট পদক্ষেপ বলে মনে করছেন তিনি৷
আরও পড়ুন: একসঙ্গে পদত্যাগ করলেন গুজরাতের সমস্ত মন্ত্রী! মোদির রাজ্যে এ কী ঘটনা! কোনও বড় প্ল্যানের ইঙ্গিত?
advertisement
যদিও এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে কোনও কোনও কথোপকথন বা টেলিফোন কল হয়েছে কি না, গতকাল দুই নেতার মধ্যে কোনও কথোপকথনের বিষয়ে আমি অন্তত এমন কোনও কিছুই জানি না।’’
প্রসঙ্গত, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি পৃথক বিবৃতিতে জানান হয়, ‘‘ভারত তেল ও গ্যাসের একটি উল্লেখযোগ্য আমদানিকারক। জ্বালানি বাজারের এই অস্থির পরিস্থিতিতে ভারতীয় গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করা আমাদের ধারাবাহিক অগ্রাধিকার। আমাদের আমদানি নীতিগুলি সম্পূর্ণরূপে এই উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত৷’’
ভারতের জ্বালানি নীতির দু’টি লক্ষ্য সম্পর্কে আরও বিস্তারিতভাবে বলতে গিয়ে ভারত সরকারের তরফে বলা হয়েছে যে, তাদের অগ্রাধিকার হল স্থিতিশীল জ্বালানির দাম এবং সরবরাহ নিশ্চিত করা। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এর মধ্যে রয়েছে আমাদের জ্বালানি উৎসের বিস্তৃত ভিত্তি তৈরি করা এবং বাজারের পরিস্থিতি পূরণের জন্য যথাযথভাবে বৈচিত্র্য আনা৷”
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসঙ্গে বলতে গেল, আমরা বহু বছর ধরে আমাদের জ্বালানি ক্রয় সম্প্রসারণের চেষ্টা করে আসছি। গত দশকে এটি ধারাবাহিকভাবে এগিয়েছে। বর্তমান প্রশাসন ভারতের সাথে জ্বালানি সহযোগিতা আরও গভীর করার আগ্রহ দেখিয়েছে। আলোচনা চলছে৷”