৩৬ বছরের এই তরুণ এখন আরজেডির ঘরের লোক, এমনকি শোনা যায় বুড়ো ঘোড়া লালুপ্রসাদও তাঁর মত ধৈর্য্য ধরে শোনেন, তাঁর কথাকে মান্যতা দেন। ভোটের আগে যখন জোট নিয়ে মহাসঙ্কট তখন লালুকে বোঝান সঞ্জয় স্বয়য়। নিউজ এইট্টিন-কে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় বলেন, ওঁকে বোঝানো কঠিন কাজ। কারণ ময়দানে নেমে অনেক বেশি কাজ করেছেন তিনি। কিন্তু তার কাছে আজকের বাস্তবচিত্রটা তো পরিষ্কার নয়, আমি সেই ছবিটাই তুলে ধরেছিলাম।
advertisement
যাঁর নির্ণয় করে দেওয়া অস্ত্র ঘায়েল করে দিচ্ছে ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা নীতীশ কুমারকে, সেই সঞ্জয় ২০১৩ সালের আগে বিহারে পাই রাখেননি। হরিয়ানার এক গণ্ডগ্রাম নাঙ্গাল সিরোহির বাসিন্দা সঞ্জয়ের বাবা এক সামান্য সুবেদারের চাকরি করতেন। গ্রামের স্কুলেই লেখাপড়া করেছেন। কোন মন্ত্রবলে তিনি আরজেডির এত ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলেন! নিউজ ১৮কে সঞ্জয় বলছেন," আমার ঘনিষ্ঠতাটা তাবেদারি নয়, পৃষ্ঠপোষকতাও নয়।"
তেজস্বীর দলের ৭৫টি আসন প্রাপ্তি যেমন ময়দানে নেমে কঠোর পরিশ্রমের ফল, তেমনই ভার্চুয়াল উপস্থিতি।আর এই ব্যাপারটা পুরোটাই হয়েছে সঞ্জয়ের উপস্থিতিতে। সঞ্জয় বিলক্ষণ বুঝতে পারছিলেন, বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে হলে শক্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম না হলে চলবে না। সেই মতোই ঘুঁটি সাজান সঞ্জয়। দশ লক্ষ কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতিও তারই ফলশ্রুতি।
এনডিএ-র হেভিওয়েটরা যখন হেলিকপ্টার থেকে নামছেন, দেখা গেল তেজস্বীও ওই দৃশ্য করিশ্মায় সমান পারঙ্গম। পাশাপাশি একদিনে ১৯
টি সভা করেছেন তিনি এমন দিনও এসেছে। এসব কিছুই হতো না যদি সঞ্জয় না থাকতেন। অবশ্য কৃতিত্ব নিতে অনীহা রয়েছে তেজস্বীর। হেলায় বললেন, আসলে তেজস্বী এক দারুণ ছাত্র, রাজনীতির জ্ঞান আর উপস্থিত বুদ্ধির মিশেলে তৈরি তাঁর ব্যক্তিত্ব। আমাদের বন্ধুত্বের গভীরতাই আমাদের এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।