পাঁচই জানুয়ারির সবরমতি হস্টেলে বরিহাগতদের হামলা। আক্রান্ত হন JNU-এর ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ। জওহরলাল নেহরু কর্তৃপক্ষের অভিযোগ করে, ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে তার আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল ক্যাম্পাসে।
৬ জানুয়ারি JNU কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে,
- ৩ জানুয়ারি মুখ ঢেকে সার্ভার রুমে হামলা হয়
- মুখ ঢেকে হামলা করেন রেজিস্ট্রেশন বিরোধী পড়ুয়ারা
advertisement
- জোর করে সার্ভার বন্ধ করে দেওয়া হয়
- ৪ জানুয়ারি রেজিস্ট্রেশন অফিসে ফের হামলা হয়
- রেজিস্ট্রেশন অফিসে ভাঙচুরও হয়
সার্ভার রুমে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে ঐশীদের বিরুদ্ধে FIR করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু, কী হয়েছিল তেসরা জানুয়ারি? RTI-এ জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উত্তর কিন্তু অন্য রকম। RTI-এ JNU জানিয়েছে, ৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে CIS রুম বন্ধ ছিল ৷পরের দিনও বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ ছিল ৷ CIS রুমে নয়, সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত থাকে ডেটা সেন্টারে ৷ ৩০ ডিসেম্বর ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট বন্ধ হয়নি ৷ ৪ জানুয়ারি বেলা ১টায় ১৭টি ফাইবার অপটিক্যাল কেবল নষ্ট হয় ৷ RTI-এর উত্তরে বিভ্রান্তি শুরু হতেই আসরে JNU উপাচার্য জগদীশ কুমার। বলেন, RTI ও তাঁর বক্তব্যের কোনও তফাৎ নেই, ভাঙচুর চালান হয় পরের দিন, ৪ জানুয়ারি ৷
সার্ভার রুমে ভাঙচুরের অভিযোগে FIR হয়েছে। মিথ্যে বলেছে JNU কর্তৃক্ষই। ভাঙচুরের সঙ্গে পড়ুয়ারা যুক্ত নন। RTI রিপোর্টকে হাতিয়ার করে দাবি JNU ছাত্র সংসদের। ছাত্র সংসদ সভাপতি ঐশী বলেন, কর্তৃপক্ষ এতদিন মিথ্যা অভিযোগ করে এসেছে ৷ এবার তা ধরা পড়েছে ৷
RTI-এ JNU কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারি হামলার দিন বেলা ৩টে থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত নর্থ/মেন গেটের টানা সিসিটিভি ফুটেজ নেই। সব মিলিয়ে এদিনের RTI জবাবে ফের একবার প্রশ্নের মুখে দিল্লি পুলিশ থেকে JNU কর্তৃপক্ষ।