রাজভবন থেকে বেরিয়ে নীতীশ বলেন, 'মহাজোটের সব দল পরস্পরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করবে৷' জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস সহ মহাজোটে মোট সাতটি দল রয়েছে৷ নীতীশকে স্বস্তি দিয়ে তাঁকে নিঃশর্ত সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছে জীেতন রাম মাঝির দল হাম৷এ ছাড়াও একজন নির্দল প্রার্থীও নীতীশ-তেজস্বী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২২টি আসন৷ তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক বিধায়কের সমর্থন নিেয় নিশ্চিন্ত মনে ফের মসনদে বসবেন নীতীশ৷
advertisement
আরও পড়ুন: আট বছরে দ্বিতীয়বার, বিজেপিকে ব্যবহার করেই সরকার বদলানোর 'শিল্পী' হলেন নীতিশ কুমার!
নীতীশ যখন ফের একবার পটনার মসনদে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন বসে নেই বিজেপি-ও৷ আচমকা এই ধাক্কা সামাল দিতে দলের রণকৌশল ঠিক করতে কাল সকাল দশটায় পটনায় দলের বিধায়ক, সাংসদ, বিধান পরিষদ সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ ইতিমধ্যেই দিল্লি থেকে পটনায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপি-র বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা৷
নীতীশ এ দিন দাবি করেছেন, তাঁর দলের সব বিধায়ক, সাংসদ সর্বসম্মতিক্রমে এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে মত দিয়েছেন৷ সেই মতকে মান্যতা দিয়েই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন৷ যদিও বিজেপি-র অভিযোগ, বিহারের জনমতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতীশ৷
তবে ইস্তফা িদলেও আচমকা বিজেপি-র সঙ্গত্যাগের কারণ জানাননি নীতীশ৷ তবে জেডিইউ সূত্রে খবর, বিজেপি তলে তলে জেডিইউ-তে ভাঙন ধরিয়ে একক ভাবে বিহারের ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করছিল, এমন আঁচ পেয়েছিলেন নীতীশ৷ সেই কারণেই পুরনো বন্ধু লালু প্রসাদের পুত্র তেজস্বীর হাত ধরলেন তিনি৷