একদিকে নীতীশ যখন নিজের দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন, তখন তড়িঘড়ি পটনায় রাবড়ি দেবীর বাসভবনে আরজেডি, কংগ্রেস এবং বাম বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তেজস্বী যাদব৷ বৈঠকে মহাজোটের বিধায়করা তেজস্বীকে নীতীশ সরকারকে সমর্থনের পক্ষেই মত দেন৷ আরজেডি এবং কংগ্রেসের সমর্থন পাওয়া নিশ্চি হওয়ার পর ইস্তফা দেওয়া নিয়ে দু' বার ভাবতে হয়নি নীতীশকে৷ কারণ মহাজোটের বিধায়কদের সমর্থন পেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক বিধায়ক থাকবে তাঁর হাতে৷
advertisement
আরও পড়ুন: নীতিশ-নীতি আর তেজস্বীর তেজে বিহারে মহাবদল? রাজ্যপালের কাছে সময় চাইলেন দুই 'জোটবদ্ধ' নেতা
বিজেপি-র তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি৷ নীতীশ ইস্তফা না দেওয়া পর্যন্ত বিজেপি-র তরফে কোনও পদক্ষেপও করা হবে না৷ ইস্তফা দেবেন না বিজেপি-র কোনও মন্ত্রী৷
গত কয়েক মাস ধরেই নীতীশের সঙ্গে বিজেপি-র দূরত্ব বাড়ছিল৷ নীতীশের অভিযোগ ছিল, তাঁর দল জেডিইউ-তে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করছে বিজেপি৷ ঠিক যেমনটা হয়েছে মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ক্ষেত্রে৷ এ ক্ষেত্রে জেডিইউ নেতা আরসিপি সিং-কে কাজে লাগানো হচ্ছিল বলে জেডিইউ শিবিরের অভিযোগ৷
২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে বিজেপি-র থেকে কম আসন পায় জেডিইউ৷ তা সত্ত্বেও প্রতিশ্রুতি মতো নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি৷ নীতীশের অবশ্য ক্ষোভ ছিল, চিরাগ পাসোয়ান ব্যবহার করে জেডিইউ-এর ভোট কেটে তাদের কোণঠাসা করেছে বিজেপি৷
বিস্তারিত আসছে...