চব্বিশের আগে বিরোধী ঐক্য নিয়ে সলতে পাকানো চলছেই৷ কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সমস্ত বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে একটি বৃহত্তর বৈঠক করার পরিকল্পনা করছেন নীতীশ৷ সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তিনি দেখা করেন৷ আগামিকাল, অর্থাৎ, মঙ্গলবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশাপাশি তাঁরও ফের কলকাতায় আসার কথা৷
সোমবার খাড়্গের বাসভবন নয়াদিল্লির ১০, রাজাজি মার্গের বাড়িতে যান জেডি (ইউ) নেতা নীতীশ কুমার৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন লালন সিং৷ বৈঠকে লালুপুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবেরও উপস্থিত থাকার কথা ছিল৷ কিন্তু, শেষ মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি বৈঠকে থাকতে পারেননি৷
বৈঠকের পরে হিন্দিতে একটি ট্যুইটও করেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে৷ লেখেন, ‘এবার দেশ ঐক্যবদ্ধ হবে৷ গণতন্ত্রের শক্তির বার্তাই আমরা দিতে চাই৷ আজ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে রাহুল গান্ধি এবং আমি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করলাম৷’
সূত্রের খবর, আমলা নিয়ে দিল্লি সরকার ও কেন্দ্রের টানাপড়েনে কেজরিওয়ালকে সমর্থনের ইঙ্গিতও দিয়েছে কংগ্রেস৷ আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন অর্ডিন্যান্স আনতে চলেছে কেন্দ্র৷ সেই অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করার জন্য বিরোধী দলগুলির কাছে সমর্থন প্রার্থনা করছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ মঙ্গলবার সেই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করতেই কলকাতায় আসছেন তিনি৷
সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হয় এই নেতাদের মধ্যে৷ আগামী ২৮ মে দিল্লি নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন৷ ওই দিনটি বিরোধীরা সামগ্রিক ভাবে বয়কট করবে কি না তা, নিয়েও কথা হয় এদিন৷
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপতি দেশে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করা নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন খাড়্গে থেকে রাহুল৷ ২৮ তারিখ নিয়ে বিরোধীদের অবস্থান কী হয়, তা স্পষ্ট হবে আগামী কয়েক দিনেই৷