গত বছরই নিজের মা নীতা আম্বানিকে উৎসর্গ করে ভারতের প্রথম মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি কালচারাল স্পেস তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন ইশা আম্বানি। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। এই ‘নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার’ শিল্পকলার ক্ষেত্র বড়সড় প্রভাব বিস্তার করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টারের লঞ্চের অনুষ্ঠানে এদিন ছিল বিশেষ ভাবে কিউরেট করা শিল্প এবং নৈপুণ্যের প্রদর্শনী। যার নাম ‘স্বদেশ’। এর সঙ্গে ছিল তিনটি দুর্দান্ত শো – ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান মিউজিক্যাল: সিভিলাইজেশন টু নেশন’ নামে একটি মিউজিক্যাল থিয়েট্রিক্যাল, ‘ইন্ডিয়া ফ্যাশন’ নামে একটি কস্টিউম আর্ট প্রদর্শনী এবং ‘সঙ্গম/ কনফ্লুয়েন্স’ নামে একটি ভিজ্যুয়াল আর্ট শো-ও।
এই লঞ্চের অনুষ্ঠানে ভারতের গভীর সাংস্কৃতিক প্রভাবের উপর জোর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এই নীতা মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার এমন একটা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে, যেখানে শিল্পীরা সরাসরি শ্রোতা-দর্শকদের সঙ্গে আলাপচারিতা করতে পারবেন। ‘স্বদেশ’-এ অনন্য ও কিংবদন্তী ভারতীয় আঞ্চলিক শিল্পের উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়। এমন ৮টি অসাধারণ শিল্পনৈপুণ্য, বছরের পর বছর ধরে যেগুলির পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। তার মধ্যে অন্যতম হল পিচওয়াই, বেনারসি বয়ন, পটচিত্র, সোজনি সূচিশিল্প, ব্লু পটারি, কাল বাফ্ফি, পৈঠানি এবং দৃষ্টিহীন মানুষদের হাতে তৈরি মোমবাতি।
এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে নীতা আম্বানি বলেন যে, “এই কালচারাল সেন্টারকে জীবন্ত করে তোলার এই সফরটা পবিত্রই ছিল। সিনেমা-সঙ্গীত, নৃত্য-নাটক, সাহিত্য-লোকগাথা, শিল্প-নৈপুণ্য, বিজ্ঞান-আধ্যাত্মিকতায় শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উদযাপন এবং প্রচার করার জন্য একটি জায়গা তৈরি করার বিষয়ে খুবই উদগ্রীব ছিলাম। এই জায়গা থেকেই ভারতের সেরাটা আমরা গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারি। আর বিশ্বের সেরাটাও আমরা ভারতের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাতে পারি।”