মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, বক্তব্য শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু, গোয়ার প্রমোদ সাওয়ান্ত, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো তাঁর পূর্ববর্তী বক্তাদের বলার জন্য পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট সময় দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন মমতা৷ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে অপমান করতেই বক্তব্যর মাঝপথেই তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: নায়ডু, হিমন্তদের ১৫-২০ মিনিট করে সময়, নীতি আয়োগের বৈঠকে ঠিক কী হল? বিস্ফোরক মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ার পর ভারত সরকারে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করা হয়নি৷ শুধু ঘড়িতে দেখানো হয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করা সময় শেষ হয়ে গিয়েছে৷
নির্মলা সীতারমণও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে এসেছিলেন৷ আমরা সবাই তাঁর বক্তব্য শুনেছি৷ প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের জন্য বরাদ্দ সময় দেওয়া হয় এবং তাঁদের টেবিলের সঙ্গে থাকা স্ক্রিনে সেই সময় ফুটেও উঠছিল৷ সংবাদমাধ্যমে উনি অভিযোগ করেছেন যে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে৷ প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীকেই বক্তব্য রাখার জন্য প্রাপ্য সময় দেওয়া হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাইক বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক এবং অসত্য৷ মিথ্যের উপর ভিত্তি করে কোনও ধারণা তৈরি না করে তাঁর উচিত এই অভিযোগের আড়ালে থাকা সত্যিটা সামনে নিয়ে আসা৷’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য অভিযোগ করেছিলেন, ‘দেশের স্বার্থে বাংলার স্বার্থে রাজ্যগুলির স্বার্থে আমি এখানে এসেছিলাম৷ বিরোধী পক্ষের অন্য কেউ আসেনি৷ আমি একা এসেছিলাম৷ আপনারা বাজেটে আমাদের বঞ্চনা করেছেন, বাংলার সমস্ত দলের উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়েছেন৷ আপনারা বিরোধীদের কোনও সুযোগ দেন না৷ তিন বছর ধরে সব উন্নয়ন বন্ধ৷ গত বছর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাই৷ বাজেটে এ বছরও শূন্য৷ এইটুকু বলার পরই আমার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ আমি তখন বললাম আমার মাইক কেন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? এটা আমাকে অপমান করা হল৷ সব বিরোধী দলকেই অপমান করা হল৷ এর পরে আর আমার এখানে থাকা সম্ভব নয়, আমি চললাম৷’ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংসদেও সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল৷