বাসটি বাওয়ানা চকের কাছে পৌঁছলে যুবকের হাত থেকে খাবার পুরো বাসে ছিটিয়ে যায়, যার কারণে বাসচালক আশীষ ক্ষুব্ধ হন। এরপর বাসচালক ওই যুবকের বন্ধুকে বাওয়ানা চকে নামিয়ে দেন। এরপর ড্রাইভার ও তার সহযোগীদের নিয়ে ওই যুবককে নির্মমভাবে মারধর করতে শুরু করে৷
advertisement
৭ কিলোমিটার ধরে নির্যাতন
পুলিশ জানিয়েছে যে তদন্তে জানা গেছে যে বাস চালক আশিস, তার সঙ্গী সুশান্ত এবং অন্য একজন ওই যুবককে শারীরিক নিগ্রহ করে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ‘বাসের ভিতরে তারা প্রথমে ওই ব্যক্তিকে গালিগালাজ ও মারধর শুরু করে। বর্তমানে পলাতক চালক আশু ওরফে আশিস একটি রড বের করে গোপনাঙ্গের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। অভিযুক্ত তার সঙ্গীকে গাড়ি চালাতে বলেন এবং লোকটি অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাকে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে যৌন নির্যাতন চলতে থাকে। বাওয়ানা ফ্লাইওভারের কাছে বাস থেকে ছুড়ে ফেলার আগে তারা ৭ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়েছিল। সেই পুরো সময়টা ধরেই এই নির্যাতন চলতে থাকে৷
রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ
২ ফেব্রুয়ারি বাওয়ানা ফ্লাইওভারের কাছে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা একটি নিখোঁজ রিপোর্টের তদন্ত করছিল পুলিশ৷ পুলিশের অভিযোগে বলা হয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফেরেননি গয়ার ভাই। তদন্তে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তি বাসের ভিকটিম যুবক। এরপর পুলিশ নিহতের বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে, সেই বাসে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার পুরো ঘটনাটি বিবরণ দেয়৷
ময়নাতদন্ত ও পুলিশ তদন্ত
বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে মৃতের ময়নাতদন্ত করা হয়, যেখানে চিকিৎসকরা বলেছিলেন যে তার গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাত রয়েছে। পুলিশ খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সুশান্ত শর্মাকে। বাসের চালক আশিস ওরফে আশু ও অপর আসামি পলাতক। তাদের খোঁজে ব্যস্ত পুলিশ।