বাকি তিন জনের সঙ্গে বিনয়েরও ফাঁসি হবে আগামিকাল অর্থাত্ শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায়৷ ৭ বছর ৩ মাসে ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর নির্ভয়াকে গণধর্ষণ করে নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছিল৷ ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নির্ভয়া৷
বুধবার দিল্লি হাইকোর্টে নির্ভয়ার ৪ দোষীর আরেকজনের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে৷ রাষ্ট্রপতিও প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন৷ বিনয়ের কিউরেটিভ পিটিশন জানুয়ারি মাসেই খারিজ করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ রাষ্ট্রপতি ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেন৷ তাই ৪ জনের ফাঁসি মোটামুটি নিশ্চিত৷
advertisement
শুক্রবার ভোরে ছেলের ফাঁসি হবে৷ কেঁদে উঠল বিনয়ের মায়ের মন৷ দাবি করলেন, রাতে শেষবার ছেলেকে তিনি নিজে হাতে রেঁধে খাওয়াতে চান৷ বিনয়ের মা তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, তিনি পুরি, সবজি ও কচুরি বানাবেন৷ সেই খাবার যেন বিনয় শেষবার খায়৷
সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি দিল্লির রবিদাস ক্যাম্পে বিনয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন৷ দরজা খুলে বিনয়ের মা বললেন, 'কে আপনি? কী চান? বাড়িতে কেউ নেই৷ আমার স্বামী কাজে বেরিয়েছে৷ আমি বিনয়ের মা৷'
বস্তি এলাকার এঁদো গলিতে বাড়ি৷ বিনয়ের মায়ের বয়স ৫০৷ কিন্তু দেখলে অনেক বেশি বৃ্দ্ধা মনে হয়৷ সাংবাদিক দেখে চেঁচিয়ে উঠলেন, 'কী লিখবে তুমি? তোমার লেখায় কিছু হয়? ভগবান যদি না চান... ৷ সবই ভগবানের ইচ্ছে৷ করোনা ভাইরাসেই দেখুন না৷ কে বাঁচবে, কে মরবে, সব ঈশ্বরের ইচ্ছে৷ মানুষের নিয়ন্ত্রণ নেই৷ আপনারও নেই৷ আমারও নেই৷'
এরপরেই বৃদ্ধা বললেন, 'তিহার জেল আমাকে ছেলের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি৷ তবু যদি অনুমতি দেয়, তা হলে বিনয়ের জন্য একটু পুরি, কচুরি ও সবজি বানিয়ে নিয়ে যাবো৷'
বলে আনমনে বিড়বিড় করতে লাগলেন, ছেলেটা বড় ভালোবাসত৷