২০২০-তে মহাবালেশ্বরের একটি গুহায় দুই ধরনের প্রজাতির বাদুড় ধরেন গবেষকরা - Rousettus leschenaultii আর Pipistrellus pipistrellus। তাদের রক্ত, গলা লালারসের সংগ্রহ করা হয়। ল্যাব গবেষণার সময় ৩৩ leschenaultii আর ১ Pipistrellus-এর বাদুড়ের শরীরে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। NIV-র গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলি ‘জার্নাল অফ ইনফেকশন অ্যান্ড পাবলিক হেল্থ’ নামক একটি জার্নালে এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
advertisement
টাইমস অফ ইন্ডিয়া-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ্য গবেষক ড. প্রজ্ঞা যাদব জানিয়েছেন, এর আগে মহারাষ্ট্রে কখনও নিপা ভাইরাস সংক্রামিত বাদুড় দেখা যায়নি। ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যে সেখানে করোনায় মৃত্যুর হার এক থেকে দুই শতাংশ, সেখানে নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমণের হার ৬৫ থেকে ১০০ শতাংশ।
গত ২০ বছরে ভারতে চারবার নিপা ভাইরাসের (Nipah virus) প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে ২০০১ সালে প্রথমবার এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল।রে নদিয়া জেলায় ২০০৭ সালে ফের একবার মেলে নিপা। রিপোর্ট অনুযায়ী, অসমের ময়নাগুড়ি, দুবড়ি কিংবা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে অনেক বাদুড়ের শরীরেই নিপা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল। এই দুটি জায়গায়ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা।
এর পরে ২০১৮ সালে নিপা ভাইরাসের কারণে মৃত্যু হয় ১৮ জনের। আর ২০১৯ সালেও বেশ কয়েকটি রাজ্যে নিপা ভাইরাসের কেশ দেখা গিয়েছিল। ২০১৮ সালে একটি সমীক্ষায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশকে NiV রোগের হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তার মধ্যে অনেক গুলি ভারতীয় রাজ্যের নামও ছিল।