জানা গিয়েছে যে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (National Investigation Agency), সংক্ষেপে NIA-এর যে আদালতে অখিল এবং তাঁর অনুরাগীদের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল, তা অবশেষে খারিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন না, আদালত অখিলকে সসম্মানে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ ছিল, তার সবগুলোই প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে খবর মিলেছে। যদিও উত্তপ্ত পরিস্থিতি এত সহজে শান্ত হওয়ার নাম নিচ্ছে না। গগৈয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন যে চাঁদমারি পুলিশ স্টেশন দ্বারা দাখিল করা মামলায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বিশেষ এক সাক্ষী পেশ করতে চলেছে এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা গগৈয়ের বিরুদ্ধে নতুন এক বিশেষ চার্জশিটও জমা দিতে চলেছে আদালতে। তবে সেই সব যুক্তি রদ করার পথ তৈরি আছে বলে গগৈ-অনুরাগীদের আশ্বাস দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তিনি বলেছেন যে অবজেকশন তৈরিই আছে, খুব তাড়াতাড়ি তাঁরা সেটা আদালতে পেশ করতে চলেছেন।
advertisement
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত ১৯৬৭ সালের আনলফুল অ্যাকটিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট (Unlawful Activities Prevention Act), সংক্ষেপে UAPA-এর অধীনে বন্দী করা হয়েছিল অখিলকে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন, শুধু তাঁকে মায়ের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে গত সপ্তাহে ছাবুয়া মামলায় রেহাই পেয়েছেন তিনি, এবার চাঁদমারি মামলাতেও সুবিচার তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানা গিয়েছে।