মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লুধিয়ানার মহল্লা ফতেহগঞ্জে এক ২১ বছর বয়সী নববিবাহিতা মহিলার মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে পাওয়া গিয়েছে, স্বামী পলাতক, পুলিশ জানিয়েছে। রাধিকা নামের ওই মহিলাকে খুন করেছেন স্বামী সুনীল, তাঁদের লাভ ম্যারেজ হয়েছিল, সেই বিয়ের মাত্র চার মাস পরেই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের মতে, সুনীল রাধিকার আগের বিয়ের কথা জানার পর তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারেন, যা রাধিকা তাঁর কাছ থেকে গোপন রেখেছিলেন।
advertisement
এই দম্পতি আগে টিব্বা রোডে থাকতেন, খুনের মাত্র চার দিন আগে একটি নতুন ফ্ল্যাটে উঠে আসেন। পুলিশের সন্দেহ, রবিবার রাধিকাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশীরা যখন ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে দেখেন এবং পরে ফ্ল্যাটের মালিককে খবর দেন, তখন বিষয়টি প্রকাশ পায়। রাধিকার মৃতদেহ ঘরে কাপড়ের স্তূপের নীচে পাওয়া যায়।
পুলিশ ফেরার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে, রাধিকার মৃতদেহ আবিষ্কারের সময় থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। সহকারী পুলিশ কমিশনার (কেন্দ্রীয়) অনিল ভানোট জানিয়েছেন যে রাধিকার হাত কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল এবং তাঁর শরীরে শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে।
অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশ বেশ কয়েকটি দল গঠন করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সোমবার ভোর ৪টের দিকে সুনীল একটি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। এর আগে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া চলছিল বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেন, তদন্তে জানা গিয়েছে রাধিকা সুনীলের সঙ্গে বিয়ের আগেই বিবাহিতা ছিলেন, তবে তিনি সুনীলের কাছ থেকে সেই বিয়ের খবর গোপন রেখেছিলেন। খুনের দুই দিন আগে সুনীল রাধিকার অতীত জীবন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পুলিশের সন্দেহ এটিই রাধিকাকে খুনের কারণ হতে পারে। তারা আরও বলেছে, নিহতের পরিবারের দাবি রাধিকা এবং সুনীল বিবাহিত ছিলেন; তবে তাদের কাছে এর কোনও আইনি প্রমাণ নেই।
রাধিকার বোন আশা জানিয়েছেন, সুনীলের পরিবারের আপত্তির কারণে তাঁরা মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন; তবে পরে তাঁরা এই সম্পর্ক মেনে নেন। বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে রাধিকা এবং সুনীল তাঁদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করার পরিকল্পনা করছিলেন।