সোমবার, ২৪ মার্চ, বাগাহা ০১ ব্লকের বাস্বরিয়া পারসাউনি গ্রামের বাসিন্দা বহাদুর বৈথা ও তাঁর স্ত্রী জ্যোতি কুমারী লউরিয়া কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে (CHC) গিয়েছিলেন সন্তান প্রসবের জন্য। বিকেল ৪টায় জ্যোতি স্বাভাবিকভাবে একটি সন্তানের জন্ম দেন।
আরও পড়ুন: ফের নড়ে উঠল পায়ের তলার জমি! ভূমিকম্পে এবার কাঁপল ভূস্বর্গ, আতঙ্কে মানুষ…
শিশুটি নড়াচড়া না করায়, সেখানে উপস্থিত ডাক্তার ও সহকারী নার্স মিডওয়াইফ (ANM) কোনও পরীক্ষা ছাড়াই নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর তাঁদের হাতে একটি ‘স্টিলবার্থ সার্টিফিকেট’ ও ছাড়পত্র ধরিয়ে দেওয়া হয়।
advertisement
শিশুকে মৃত ঘোষণা করায় হতাশ দম্পতি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকরা শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করেন এবং তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। অক্সিজেন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নবজাতক নড়াচড়া করতে শুরু করে এবং কেঁদে ওঠে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকত। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং বিপদমুক্ত। এই ঘটনার জন্য দায়ী ছিলেন কর্তব্যরত নার্স রাধিকা কুমারী এবং চিকিৎসক আফরোজ। কোনও ধরনের শারীরিক পরীক্ষা ছাড়াই তাঁরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন ও ছাড়পত্র দেন।
আরও পড়ুন: ওয়েটিং-এ আছে ট্রেনের টিকিট, কনফার্ম হবে কি না বুঝতে পারছেন না! জানুন রেলের ‘সিক্রেট’ ফর্মুলাটি
যখন জানা যায় যে শিশুটি জীবিত, তখন ডাক্তার আফরোজ নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং বলেন যে তিনি পরীক্ষা না করেই ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।
এই ঘটনার পর জেলা সিভিল সার্জন বিজয় কুমার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছেন। তিনি জানিয়েছেন, লউরিয়া CHC-র মেডিক্যাল অফিসার, ANM এবং চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। যদি কোনও গাফিলতির প্রমাণ মেলে, তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা ও চিকিৎসা অব্যবস্থাপনার একটি বড় উদাহরণ হয়ে উঠেছে, যা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে।