এখানেই শেষ নয়, সুস্মিতা প্রশ্ন তোলেন, 'অসমে বিরোধীরা কোথায়? আমরা বিজেপির সঙ্গে আপোষ করেছি। কিন্তু তৃণমূল তা করবে না, অসমে তৃণমূল ভালো ফল করবে।' অসমের সঙ্গেসঙ্গেই তিনি তুলে এনেছেন ত্রিপুরার প্রসঙ্গও। ত্রিপুরাকে কংগ্রেস কোনও গুরুত্বই দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাদপ্রতীম রাজনীতিক প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতা। তাঁর কথায়, 'মাত্র ২টি লোকসভা আসন থাকার জন্য কংগ্রেস ত্রিপুরাকে সবসময়ই ব্রাত্য করে রেখেছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের ভাবনা অন্য। তাঁরা ত্রিপুরাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন।'
advertisement
তবে, এদিনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধির যুগলবন্দির কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আগুন রয়েছে। দলের জন্য তাঁর আপ্রাণ প্রচেষ্টা বারবার সামনে এসেছে। তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। রাহুল গান্ধিরও দূরদৃষ্টি রয়েছে, তিনি আদর্শবাদী।' আর আগে অসমে দাঁড়িয়ে সুস্মিতা বলেছিলেন, 'আমার বাবা প্রয়াত সন্তোষ মোহন দেব ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ একই।' তাই তৃণমূল নেত্রীর আদর্শেই পরবর্তী রাজনৈতিক জীবন এগিয়ে নিয়ে যেতে চান তিনি।
যদিও মমতার হাত ধরেছেন মানে এই নয় যে তিনি সোনিয়া গান্ধির হাত ছেড়েছেন, সেই বিষয়টিও বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন সুস্মিতা দেব। ত্রিপুরা ও অসমকে হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি। দুই রাজ্যে তাঁর জনপ্রিয়তাও তুমুল। আর এই দুই রাজ্যকেই আপাতত নিজেদের ক্ষমতা সম্প্রসারণের জন্য পাখির চোখ করেছে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। ঠিক এমন সময়ে তৃণমূলের হয়ে সুস্মিতার উঠে আসাটা তাই রাজনৈতিকভাবেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। সুস্মিতার মতো অভিজ্ঞ নেতাই যে এই দুই রাজ্যে পথ দেখাতে পারে, তা তৃণমূল খুব ভালোভাবেই বুঝেছে আর সেই মতোই তাঁকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।