প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটছে একাধিক পথ দুর্ঘটনা। বিশেষ করে জাতীয় সড়কগুলিতে দু্র্ঘটনা বেড়েই চলেছে। দুর্ঘটনা বন্ধ করতে আইন আছে, আছে সচেতনতা-প্রচার, তাতেও লাভ কিছু হয়নি। বাড়ছে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা। জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা রোধে এবার নয়া প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় সড়কের ব্ল্যাক স্পট ও বিপজ্জনক বাঁকগুলিতে লাগানো হবে বিশেষ সিগন্যাল পোস্ট। যাতে থাকবে স্পিড সেনসর ও হর্ন।
advertisement
সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ভারতীয় চালকরা আলো বা রোড সাইনের থেকেও শব্দে বেশি আকৃষ্ট হন। জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় রয়েছে বাঁক। এর মধ্যে বেশ কিছু বাঁক ভীষণ বিপজ্জনক। সেখানে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় দুর্ঘটনার মুখে পড়েন চালকরা। ঘটে যায় মুখোমুখি দুর্ঘটনাও। বাঁকের মুখে চালকদের জন্য সতর্কতার একাধিক ব্যবস্থা থাকলেও তা মেনে চলেন না অনেকেই। এই জায়গাগুলি চিহ্নিত করেই লাগানো হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা।
কি ভাবে কাজ করবে এই নয়া সিগন্যাল পোস্ট ----
স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পোস্ট মাপবে গাড়ির গতি
প্রতিটি সিগন্যাল পোস্ট পরস্পরের সাথে ই-কানেক্ট করা থাকবে
রাস্তার উপরে থাকা প্রতিটি দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা বা ব্ল্যাক স্পটে বসানো হচ্ছে নয়া সিগন্যাল পোস্ট
প্রতিটি সিগন্যাল পোস্টে বসানো হচ্ছে নয়া প্রযুক্তির থার্মোস্ট্যাট ক্যামেরা
প্রতিটি ক্যামেরায় বসানো থাকছে সাউন্ড সেন্সর
গাড়ি জাতীয় সড়কের ওই জায়গায় নির্দিষ্ট করে দেওয়া গতি টপকালেই তা ধরা পড়বে ক্যামেরায়
সঙ্গে সঙ্গেই হর্ন বেজে উঠবে সিগন্যাল পোস্টে
জ্বলে যাবে লাল বা হলুদ সতর্কীকরণ আলো
সতর্ক হয়ে যাবেন গাড়ি চালকেরা
ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তির সিগন্যাল পোস্ট তৈরির কাজ করছে খড়গপুর ও বোম্বে আইআইটি।
রাজ্যের উপরে থাকা ২, ৩৪, ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। এই রাস্তার উপরে থাকা ব্ল্যাকস্পটগুলিতে নয়া সিগন্যাল পোস্ট বসানো হচ্ছে। সেখানেও এই নয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।