আরও পড়ুন- দরজায় কড়া নাড়ছে বিপদ, কলকাতায় ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমছে, বাড়ছে ভূমি ধসের আশঙ্কা !
নেসলের (Nestle) একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিষয়টির সংবেদনশীলতা বুঝতে পেরেছেন তাঁরা। অসাবধানতাবশত কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকলে তার জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। “গত বছরই আমরা এই মোড়কের চকোলেটগুলি বাজার থেকে তুলে নিয়েছি। আপনাদের বোধ এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ,” জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
advertisement
আসলে এই মোড়কে (Kitkat) জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার ছবি ছিল। সুইস বহুজাতিক সংস্থা নেসলের ভারতীয় সহযোগী সংস্থা নেসলে ইন্ডিয়ার এই প্যাকেজিং নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুজনই বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন।
আরও পড়ুন- স্রোতে ভেসে যাচ্ছে হরিণ শাবক, বাঁচাতে জলে ঝাঁপ পোষ্য কুকুরের! দেখুন ভাইরাল ভিডিও
নেসলে ইন্ডিয়া নিজেদের সমর্থনে জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন বিখ্যাত জায়গার ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্যই এই বিশেষ প্যাকেজিং। ম্যাগি, নেসক্যাফে, মিল্কমেইড, মাঞ্চ এবং মিল্কিবারের মতো ব্র্যান্ডের জনক নেসলে আরও জানিয়েছে, ওড়িশার নিজস্ব লোকশিল্প পটচিত্রকে প্রচার ও প্রসারে আনতে উদ্যোগী তারা। তাই গত বছর পটচিত্রকে মাথায় রেখেই ওড়িশার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এই প্যাকেজিংয়ের কথা ভাবেন । “আমরা মানুষকে এই শিল্প এবং এর কারিগরদের সম্পর্কে আরও উৎসাহিত করতে চেয়েছিলাম। আমাদের আগের প্রচারাভিযানেও একই ধরনের প্রচেষ্টা করা হয়েছে। ক্রেতারা এই ধরনের সুন্দর নকশার মোড়ক সংগ্রহ করতে পছন্দ করেন,” জানান ওই মুখপাত্র।
তিনি আরও জানান, ওড়িশার প্রাচীন লোকশিল্প হল পটচিত্র বা স্ক্রোল পেইন্টিং। তুলির নিখুঁত টানে এখানে পটে ফুটে ওঠে নানান পৌরাণিক কাহিনি এবং লোককথা। ভারতীয় আঞ্চলিক লোকংস্কৃতির এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পটিকে পুরীর তীর্থযাত্রীদের পাশাপাশি ওড়িশার অন্যান্য মন্দিরগুলির স্মারক হিসাবেও তৈরি করা হয়।
২০২১ সালে এই দেশে নেসলে ইন্ডিয়ার ১৩,৩৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। গত বছরের এপ্রিলেও বিতর্কের মুখে পড়ে নেসলে। রাজ্য সরকারের আপত্তির পরে নেসলে ইন্ডিয়া কিটক্যাট চকোলেটের প্যাকেজিংয়ের উপর মণিপুরের কেইবুল লামজাও জাতীয় উদ্যানকে ভুলভাবে চিত্রিত করার জন্য ক্ষমা চেয়েছিল। কিটক্যাট ট্র্যাভেল ব্রেক চকোলেটের এই বিশেষ প্যাকেজিংয়ে একটি লাল পান্ডার ছবি দেখা গিয়েছিল যা কেইবুল লামজাও জাতীয় উদ্যানে পাওয়াই যায় না।