ভোটের ফল সামনে এলেও রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পিকচার আভি বাকি হ্যায়। এনডিএ সরকার গড়ার সুযোগ পেতে চলেছে বিজেপিরই বাহুবলে। ভোটের পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে তেজস্বী-তেজপ্রতাপরা ফাঁকা আওয়াজ করেননি, নীতীশ সত্যিই জনসমর্থন হারিয়েছে। জোটের হিসেব থেকে বেরিয়ে দেখলে বিহারে তৃতীয় দল জেডিইউ। এই অবস্থায় নীতীশকে কি মুখ্যমন্ত্রীত্ব দেবে বিজেপি ? ক্ষমতাহীন সম্রাট হতে কি নীতীশও আদৌ চাইবেন?
advertisement
বিহারে ভোটের ফল নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। আরজেডির দাবি তাদের জোট অন্তত ১১৯ টি সিটে জিতেছে কিন্তু শংসাপত্র দেয়নি কমিশন। এই নিয়ে অবশ্য শাসকশিবির নীরব। উঠছে রাতের অন্ধকারে বাহুবল প্রদর্শনের অভিযোগ।
বিহার ভোটের ফল বলছে, তেজস্বী-তেজপ্রতাপের তারুণ্য সত্যিই খেল দেখিয়েছে। যাদব ভাতৃদ্বয় নিজেদের সিটে জিতেছেন। শুধু তাই নয়, তাদের নেতৃত্বেই ধস নেমেছে নীতীশ শিবিরে। জয় এসেছে আরও বহু অঞ্চলে। অন্য দিকে বিজেপির ভোটপ্রাপ্তির মধ্যে নিঃশব্দ ভোটার, মহিলা, বয়স্কদের ছায়া দেখতে পারছেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখযোগ্য ভাবে উজ্জ্বল তিন বামদল। ২৯ টি সিটে লড়েছিল তাঁরা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী অন্তত ১৮ টি সিট পেতে পারে তারা। ২০০৫ সালের পরে বিহারে খাতাই খুলতে পারেনি সিপিআই। সিপিআইএম ২০১০ সালে একটি সিট পেয়েছিল। কাজেই দেশজুড়ে বামেদের ভরাডুবির মধ্যে এই জয় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ডুবিয়েছে মেজ শরিক কংগ্রেস। ৭০ টি আসনে ল়ড়ে মাত্র ২০টিতে তারা এগিয়ে। কংগ্রেস আরেকটু ভালো ফল করলে অনায়াসে বিহার দখল করতে পারত মহাগঠবন্ধন।
এ দিন দিনভর হাড্ডাহাড্ডি লড়েছে এনডিএ ও মহাগঠবন্ধন। ফল সুতোয় ঝুলেছে প্রতিমুহুর্তে। শেষমেষ গৈরিক ঝড়েই এগিয়ে গিয়েছে এনডিএ। ভোটের আগেই নীতীশ অবসরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিলেন, হয়তো তাঁর ইচ্ছে পূরণ হবে। কিন্তু মনে রাখার, বিহারের মানুষ যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাবেন, করোনা-কর্মসংস্থান, সুসাশন ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে মানুষের ভোট তাঁর দলের বিপক্ষেই গিয়েছে। এই বিধিলিপিকে কী বলে অভিহিত করা যায়, অলীক কুনাট্য?