নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এবং দিল্লি পুলিশের যৌথ দল আন্তর্জাতিক ড্রাগ সিন্ডিকেটের পর্দা ফাঁস করল। অভিযানের নাম ‘অপারেশন ক্রিস্টাল ফোর্টরেস’। দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর হাই অ্যালার্ট রাজধানীজুড়ে। একের পর এক অপরাধ চক্র ফাঁস করছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল, সীমান্ত পেরিয়ে রমরমিয়ে চলছে একটি অত্যাধুনিক মাদক চক্র! সেই চক্র ফাঁস-ই ছিল এনসিবি-র মূল লক্ষ্য! পুলিশের অনুমান, এই চক্রটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এক কুখ্যাত কিংপিং, বর্তমানে সে বিদেশে রয়েছে। গতবছর, দিল্লিতে ৮৩ কিলো কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সে পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায়। সূত্রের দাবি, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এবং অন্য দেশগুলিতেও মাদক সরবরাহের জন্য দিল্লিকে একটি হাব হিসাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে এই চক্র।
advertisement
আরও পড়ুন:১০ হাজার নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আজ মেগা বৈঠকে অভিষেক, মঙ্গলে মতুয়ামহলে মহামিছিল মমতার
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এনসিবি এবং দিল্লি পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমাদের সরকার দ্রুত মাদক চক্র ধ্বংস করছে। ৩২৮ কেজি নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির মাদকমুক্ত ভারতের লক্ষ্যে এটি বড় সাফল্য।’
আরও পড়ুন:ব্যস্ত সপ্তাহের শুরুতেই বন্ধ একাধিক রাস্তা! সতর্কবার্তা কলকাতা পুলিশের
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নয়ডার সেক্টর ফাইভে হানা দেয় এনসিবি এবং দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। পাকড়াও করা হয় শেন ওয়ারিস নামে ২৫ বছর বয়সি এক তরুণকে।উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলার বাসিন্দা বছর ২৫-এর শেন ওয়ারিস পেশায় সেলস ম্যানেজার। তদন্তকারীদের সন্দেহ, নেপথ্যে সে ওই চক্রের অন্যতম সরবরাহকারী। একজন হ্যান্ডলারের নির্দেশে কাজ করত এবং গোপনে গোটা চক্র পরিচালনার জন্য ভুয়ো সিম কার্ড এবং হোয়াটসঅ্যাপ, জানগির মতো এনক্রিপটেড কম্যিউনিকেশন অ্যাপ ব্যবহার করত।
জেরায় ওয়ারিস মাদক চক্রে নিজের ভূমিকার কথা স্বীকার করে নেয়। তাকে জেরা করেই প্রকাশ্যে আসে নাগাল্যান্ডের বাসিন্দা, এস্থার কিনিমি নামে এক মহিলার পরিচয়, সেও মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে থাকে দক্ষিণ দিল্লির ছত্তরপুর এলাকায়। ওয়ারিসের থেকেই এস্থারের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং অন্য তথ্য পেয়ে ছত্তরপুর এনক্লেভের একটি ফ্ল্যাটে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই ৩২৮.৫৪ কেজি মেথঅ্যামফেটামিন উদ্ধার করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দিল্লিতে সবচেয়ে বড় মাদক উদ্ধারের ঘটনাগুলির মধ্যে এটি একটি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
