বাস থেকে শেষ মুহূর্তে প্রাণ বাঁচিয়ে বেরতে পারা এক যাত্রী বলেন, ‘‘দরজা খোলা যাচ্ছিল না। আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল, তাই আমাদের জানালার কাচ ভেঙে বেরিয়ে আসতে হয়। কেউ কেউ ধ্বংসস্তূপ থেকে অন্যদের টেনে বের করার চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু আগুনের তাপ এত বেশি ছিল যে কেউ কিছু করতে পারেননি৷’’ আহত ২২ জনকে নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন :ফেসবুকে ছবি, স্ট্যাটাস ‘বাংলাদেশ’! ১৭ বছর নির্বাসনের পরে ঢাকায় পা রাখলেন তারেক রহমান
মধ্যরাতের বাস সফর বদলে গেল মৃত্যুপুরীতে৷ কর্ণাটকের গোকর্ণে হিরিয়ুরে একটি যাত্রিবাহী স্লিপার বাস এবং মালবাহী কন্টেনারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দাউ দাউ করে জ্বলল আগুন, জীবন্ত দগ্ধ ৯ জন৷ উদ্ধারকাজের সময় পুলিশ জানায়, এখনও পর্যন্ত ৫টি দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ তবে বাকি দেহগুলির অবস্থা এতই খারাপ যে তার পরিচিতি বোঝা যাচ্ছে না৷ করা হবে ডিএনএ টেস্ট৷
জানা গিয়েছে, বাস সংস্থা সি-বার্ডের ওই বাসটি ৩২ জন যাত্রী নিয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে বেঙ্গালুরু থেকে গোকর্ণে যাচ্ছিল৷ সেই সময় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাসটি কন্টেনারের ডিজেল ট্যাঙ্ক সরাসরি ধাক্কা দেয়, ফলে যার ফলে জ্বালানি লিক করে তৎক্ষণাৎ আগুন ধরে যায়।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই, গাড়িটি ঘন ধোঁয়া এবং প্রচণ্ড আগুনে ভরে যায়৷ রাতের সফর হওয়ায় স্লিপার সেল বাসের অনেক ঘুমন্ত অবস্থায় থাকায় কেবিনের ভিতরে আটকে পড়েন। বাসের চালক, ক্লিনার এবং কন্ডাক্টর অলৌকিকভাবে বেঁচে যান।
আরও পড়ুন :ধীরে ধীরে রেললাইন পেরচ্ছিলেন বৃদ্ধা..হঠাৎ সামনে এসে গেল ট্রেন…ঝাঁপিয়ে পড়লেন গাঙ্গুলি
পুলিশকর্তা রবিকান্তে গৌড়া বলেন, ‘‘রাত ২টোর দিকে, বেঙ্গালুরু থেকে গোকর্ণগামী একটি বাসকে একটি কন্টেইনার লরি ধাক্কা দেয়। লরিটি ডিভাইডারে উঠে বাসের ডিজেল ট্যাঙ্কে ধাক্কা দেয়, যা লিক করে আগুন ধরে যায়। কন্টেইনার লরির চালক সংঘর্ষ এবং আগুনের কারণে মারা গেছেন৷’’
পুলিশ জানায়, ‘‘প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে মোট নয়জন নিহত হয়েছেন। আমরা তথ্য পেয়েছি যে, বাসের ভিতরে একটি শিশুর পুড়ে যাওয়া দেহ রয়েছে, তবে এখনও আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। আমরা তদন্ত করছি এবং দগ্ধ দেহগুলির ডিএনএ সংগ্রহের চেষ্টা করছি। ’’
