গত মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা। এগরা ১ নম্বর ব্লকের সাহাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামের একটি অবৈধ বাজি কারখানায় এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে একাধিক মৃতদেহ। দেহগুলি আগুনে সম্পূর্ণ ঝলসে গিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের । ওই মারাত্মক বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর ক্ষতবিক্ষত ছিলেন মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ ওরফে ভানু বাগও৷ কিন্তু, সে সব তোয়াক্কা না করেই ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বাড়ি ছাড়েন তিনি৷ তখনও ভানু ছিলেন রক্তাক্ত৷ বেশিদূর যাওয়ার ক্ষমতা তাঁর ছিল না৷ সেটা বুঝেই সিআইডি আধিকারিকেরা আন্দাজ করেছিলেন, পালালেও, খুব বেশি দূরে যাননি অভিযুক্ত৷ শুরু হয় তল্লাশি৷
advertisement
গত বুধবার সকালেই ওড়িশার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সিআইডির বিশেষ দল৷ এদিকে ভানু ঘনিষ্ঠ ৪ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু হয়৷ সবশেষে রাতেই মিলেছিল সাফল্য৷ সিআইডি আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন ভানু৷ ভানুর পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগ৷
মানবধিকার কমিশনের তরফে যা জানতে চাওয়া হয়েছে,
কতগুলি এফআইআর দায়ের হয়েছে ?
ঘটনার পর এবং কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ হয়েছে ?
এছাড়াও জখমদের চিকিৎসার কী ব্যবস্থা করা হয়েছে?
নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে?
তদন্তে গাফিলতি করেছেন যে সমস্ত আধিকারিক তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
এগরা কাণ্ড নিয়ে কমিশনের কাছে কী বলে রাজ্য় সরকার সেটাই এখন দেখার।