গত কয়েকদিন গুজরাতেই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ এ দিন বিকেলে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী৷ এখনও মাচ্ছু নদীতে চলছে উদ্ধারকাজ৷ কী কারণে সেতু ছিঁড়ে পড়ল, ইঞ্জিনিয়ার এবং গুজরাত সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তাও বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী৷ দৃশ্যতই বিচলিত লাগছিল তাঁকে৷
advertisement
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ছ' মাস বন্ধ ছিল মোরবি এই সেতু৷ তার পরে সেতু উদ্বোধনের মাত্র চার দিনের মধ্যে ছিঁড়ে যায় এই ঝুলন্ত সেতু৷ সেতু বিপর্যয়ের এই ঘটনার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এসেছে৷
জানা গিয়েছে, প্রয়োজনীয় ফিট সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুর উদ্বোধন হয়েছিল৷ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেসরকারি সংস্থার উপরে দায়িত্ব দিয়েই দায় সেরেছিল গুজরাত সরকার৷ সেতুতে একশো মানুষের ভার বহন ক্ষমতা থাকলেও দুর্ঘটনার সময় সেখানে প্রায় ৪০০ মানুষ ছিলেন বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন: 'টিকিট কেটে ব্রিজে তখন প্রায় ৪০০ জন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নদীতে ছিঁড়ে পড়ল সেতু', এখনও শিউরে উঠছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি মোরবির সিভিল হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীনদেরও দেখতে যান৷ যদিও অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আসার আগে রাতারাতি হাসপাতালের ভোল বদলে দেওয়া হয়েছে৷ হাসপাতালে পড়েছে নতুন রংয়ের প্রলেপ, বসানো হয়েছে নতুন টাইলস, আনা হয়েছে নতুন বেড, ওয়াটার পিউরিফায়ার৷
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ভয়াবহ বিপর্যয় বিজেপি-কে অনেকটাই চাপে ফেলে দিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে উচ্চপদস্থ কমিটি গঠন করেছে গুজরাত সরকার৷ গাফিলতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে৷