এ দিন রাজ্যসভায় মূলত কৃষক আন্দোলন নিয়ে জবাবি ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তখনই ডেরেক ও ব্রায়েনকে নিশানা করেন তিনি৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ডেরেক ও ব্রায়েনের কথা শুনছিলাম৷ অনেক বড় বড় কথা বলছিলেন৷ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা, ভয় দেখানো৷ শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল, উনি দেশের কথা বলছেন নাকি বাংলার বর্তমান অবস্থা ব্য়াখ্য়া করছেন!'
তৃণমূল সাংসদকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করেন, ডেরেক যে অভিযোগগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তুলছেন সেই অভিযোগগুলি আসলে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷ নরেন্দ্র মোদির মতে, তৃণমূল সাংসদের ব্যবহৃত শব্দগুলি আসলে বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকেই ভাল ভাবে ব্যাখ্যা করে৷ কটাক্ষের সুরে প্রধানমন্ত্রী এর পরে আরও বলেন, 'আসলে ২৪ ঘণ্টাই নিজের চারপাশে যা দেখেন, যা শোনেন ভুল করে সেগুলিই বোধহয় এখানে বলে ফেলেছেন৷ '
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে স্বভাবতই হাসির রোল ওঠে বিজেপি সাংসদদের মধ্যে৷ এর পরেই অবশ্য ফের কৃষি আইন নিয়ে বলতে শুরু করেন নরেন্দ্র মোদি৷ তবে এ দিনও সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বাংলার প্রসঙ্গ উঠেছে৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অসহযোগিতার জন্যই বাংলার কৃষকরা কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে এ দিন সংসদে দাঁড়িয়েও সরব হন প্রধানমন্ত্রী৷ তবে নরেন্দ্র মোদির এই কটাক্ষ নিয়ে ডেরেক ও ব্রায়েনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি৷ তবে এ দিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য়ের মাঝেই রাজ্য়সভা থেকে ওয়াক আউট করেন তৃণমূল সাংসদরা৷