এই সাতটি পরিকাঠামো প্রকল্প গড়ে উঠবে দেশের ৯টি রাজ্যের ৩৫টি জেলায়। রাজ্যগুলি হল – উত্তরপ্রদেশ, বিহার, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ। প্রকল্প রূপায়ণের কাজ সম্পূর্ণ হলে ভারতীয় রেলের নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে আরও ২,৩৩৯ কিলোমিটার এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শ্রম দিবস সৃষ্টি হবে ৭.০৬ কোটি।গোরখপুর ক্যান্ট.-বাল্মিকী নগর সেকশনের দ্বৈতকরণ দিল্লি-হাওড়া গ্র্যান্ড কর্ড লাইনের মাধ্যমে উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিকে যাওয়া-আসা করা ট্রেনগুলির একটি বিকল্পমূলক রুট হিসেবে কাজ করবে।
advertisement
এই বিকল্পমূলক রেল লিংকটি যানজট হ্রাস করবে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিকে যাওয়া সংযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করবে এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের দিকে অধিক যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে সহায় করবে। গোরখপুর ক্যান্ট.-বাল্মিকী নগর সেকশনের দ্বৈতকরণ সম্পূর্ণ করতে আনুমানিক ১২৬৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। নারগুন্ডি-বারং ও খুর্দা রোড-বিজিয়ানগরম সেকশনে ৩য় লাইন স্থাপনের অন্য আরেকটি প্রকল্প শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে দক্ষিণ ভারতের দিকে ভ্রমণকারী উত্তর পূর্বাঞ্চলের মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ভারতের সবচেয়ে বড় নদীর নাম জানেন? যা ভাবছেন, তা কিন্তু নয়! সঠিক উত্তর জানেন মাত্র ১% মানুষ
এই সেকশনে কলকাতা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত তীব্র যানজট হয়। সুতরাং, এই সেকশনে ৩য় লাইন স্থাপন করা হলে যানজট হ্রাস হবে এবং ট্রেন চলাচল বৃদ্ধি করবে। এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে আনুমানিক ৫০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। যে রেলপথগুলিকে প্রস্তাবিত প্রকল্প রূপায়ণের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে সেখান দিয়ে খাদ্যশস্য, কৃষি সার, কয়লা, সিমেন্ট, ফ্লাইঅ্যাশ, লোহা, তৈরি ইস্পাত, ঝামা, অপরিশোধিত তেল, চুনাপাথর, ভোজ্যতেল সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী নিয়মিতভাবে পরিবহণ করা হয়। ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজের ফলে অতিরিক্তভাবে ২০০ এমটিপিএ (প্রতি বছর মিলিয়ন টন) যানবাহন চলাচল করবে। রেলওয়ে হল পরিবহণের পরিবেশ-বান্ধব ও জ্বালানি সাশ্রয়ী একটি পদ্ধতি, যা জলবায়ুর লক্ষ্য অর্জন ও দেশের পরিবহণ ব্যয় হ্রাসের জন্য সহায়ক হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: ভরসার মাস্টারমশাই হয়ে উঠল আসল কালপ্রিট! বাড়িতে এসে ছাত্রী জানাল ভয়ঙ্কর কাণ্ড
উত্তর পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে বহুমুখী কর্মশক্তি সৃষ্টি করে অঞ্চলের মানুষকে ‘আত্মনির্ভর’ করে তোলার যে দৃষ্টিভঙ্গী প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই রেল প্রকল্পগুলি রূপায়িত হবে এবং মানুষের কর্মসংস্থান/আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে।এই প্রকল্পগুলি মাল্টি-মডেল সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান কর্মসূচির ফলাফল, যা সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে এবং মানুষ, পণ্য সামগ্রী ও পরিষেবার চলাচলের জন্য বাধাহীন সংযোগ প্রদান করবে।