প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর স্মৃতি সৌধ নির্মাণ ঘিরে বিতর্কের মাঝেই সরব হয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা৷ কংগ্রেস নেতৃত্বকে নিশানা করে তিনি অভিযোগ তোলেন, স্মৃতি সৌধ দূরে থাক, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর শোকসভা আয়োজনের উদ্যোগও নেয়নি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি৷
আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়’, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে দিলেন ইউনূস?
advertisement
সমাজমাধ্যমে শর্মিষ্ঠা লেখেন, ‘বাবার স্মরণে সৌধ গড়ার যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নিয়েছে, তার জন্য আমার অন্তর থেকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করলাম৷ সবথেকে আনন্দের বিষয়, এ বিষয়ে আমরা সরকারের কাছে কোনও তদ্বির করিনি৷ প্রধানমন্ত্রীর এই অপ্রত্যাশিত মহানুভবতা আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে৷’
শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ‘বাবা সবসময় বলতেন, প্রস্তাব না এলে নিজে থেকে চেয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মান নেওয়া উচিত নয়৷ প্রধানমন্ত্রী যে বাবার স্মৃতি রক্ষায় তাঁকে এভাবে সম্মান জানালেন, তার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ৷ বাবা এখন যেখানে আছেন, তিনি প্রশংসা অথবা সমালোচনার ঊর্ধ্বে৷ কিন্তু তাঁর মেয়ে হিসেবে আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই৷’ ২০২০ সালের ৩১ অগাস্ট প্রয়াত হন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়৷ মৃত্যুর আগে ২০১৯ সালে তাঁকে ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত করে মোদি সরকার৷
দিল্লির রাজঘাটে রাষ্ট্রীয় স্মৃতি স্থলে যেখানে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতিদের স্মৃতি সৌধ গড়ার জন্য জায়গা বরাদ্দ করা হয়, সেখানেই প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হবে৷ ওই জায়গাতেই প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর স্মৃতি সৌধও রয়েছে৷