বিদেশের মাটিতে ভিনদেশি সাংবাদিকের প্রশ্ন। মুখ তাই খুলতেই হল। দেশের একের পর এক অসহিষ্ণুতার ঘটনাতেও মৌন ছিলেন। বিদেশে আর সেই সুযোগ কোথায়? অসহিষ্ণুতার ঘটনা বরদাস্ত করবে না কেন্দ্র। মোদির এই আশ্বাসে কি আশ্বস্ত হল বিরোধী ও ভুক্তভোগীরা? হিথরোয় নামার পর থেকে অভ্যর্থনার সঙ্গে সঙ্গী ধিক্কারও। প্রধানমন্ত্রীর ব্রিটেন সফরের বিরোধিতায় লন্ডনের চার প্রান্ত থেকে শুরু হয় মিছিল ৷ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য ছিল ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট। কালো পতাকা আর প্ল্যাকার্ড নিয়ে যে বিক্ষোভের রেশ ততক্ষণে ভাইরাল গোটা দুনিয়ায়।
advertisement
নরেন্দ্র মোদিকে চায় না কেমব্রিজ। এই দাবিতেই বিক্ষোভ শুরু করেছিল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। অসহিষ্ণুতা, দাঙ্গা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছিল। ছাত্র বিক্ষোভ এড়াতেই তাই বাতিল হয় অনুষ্ঠান। যাকে নিজেদের জয় হিসাবেই দেখছে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়।
লন্ডনের ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এদিন যা বললেন-
১. বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, বিকল্প শক্তিতে যৌথ উদ্যোগের পথে ভারত-ব্রিটেন ৷ ভারতে ব্রিটিশ সহযোগিতায় তৈরি হবে সাইবার সেল ৷ ১ লক্ষ অপরাধ মোকাবিলার ক্ষমতা থাকবে সাইবার সেলের ৷
২. বিলেতে অসহিষ্ণুতা নিয়ে রক্ষণাত্মক মোদি ৷ ‘ভারত মহাত্মা গান্ধির দেশ, এখানে অসহিষ্ণুতার কোনও স্থান নেই ৷ এমন দৃষ্টান্ত লজ্জাজনক ৷ ভারত এধরনের ঘটনা বরদাস্ত করে না ৷ সব নাগরিকই অধিকার রক্ষায় দায়বদ্ধ ৷’
৩. অসামরিক পরমাণু চুক্তিতে সই ভারত-ব্রিটেনের ৷ গঙ্গা মিশন, স্বচ্ছ ভারত ও বিকল্প জ্বালানিতে প্রযুক্তিগত সাহায্য দেবে ব্রিটেন ৷ সঙ্গে ভারতীয় বন্ডে এনআরআই-দের বিনিয়োগের সুবিধাও দেবে তারা ৷ ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ৷
৪. ভারতের নানা বিষয়ে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে আর ব্রিটেনের রয়েছে আর্থিক ক্ষমতা ৷ ব্রিটেনের সঙ্গে আমাদের সামরিক সমঝোতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৷ দুই দেশের অসামরিক পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানালেন নরেন্দ্র মোদী। আগামী দু’বছরে দুই দেশের বাণিজ্য সুসম্পর্ক তৈরি করতে চাই ৷ সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মোদি ৷