প্রধানমন্ত্রী অবশ্য সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চে সরাসরি তৃণমূল বা পশ্চিমবঙ্গের নাম নেননি৷ কিন্তু তার আক্রমণের লক্ষ্য কোথায় ছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: কোন সাত জেলায় এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ হাইকোর্টের,দেখুন তালিকা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি চলছে৷ কয়েক দিন আগে সংবাদমাধ্যমে আসা রিপোর্ট আপনারা দেখেছেনএকটি রাজ্যে ক্যাশ ফর জবের দুর্নীতির তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে যা দেশের যুবসম্প্রদায়ের জন্য খুব বড় চিন্তার বিষয়৷’
advertisement
মোদি আরও বলেন, ‘ওই রাজ্যে কী হয়েছে? হোটেলে যেমন খাবারের রেট কার্ড থাকে, তেমনই সরকারি চাকরির সব পদের জন্য রেট কার্ড রয়েছে৷ ছোট ছোট পদের জন্য গরিব মানুষকে লুঠ করা হচ্ছে৷ সাফাইকর্মীর জন্য এক রেট, ড্রাইভার, ক্লার্ক, টিচার, নার্সের চাকরির জন্য এক রেট৷ সব পদের জন্য রেট কার্ড আছে৷ কাটমানির কারবার চলছে৷ দেশের যুব সমাজ কোথায় যাবে৷ স্বার্থপর রাজনৈতিক দল চাকরির জন্য েরট কার্ড তৈরি করছে৷’
তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এ দিন বিরোধী শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের দুর্নীতি নিয়েই সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এ হেন মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ৷ অতীতে রাজ্যে ভোট প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করলেও সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তৃণমূলকে নাম না করে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ রাজ্য বিজেপি-কেও উৎসাহিত করবে৷ ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য সহ শাসক দলের ছোট বড় একাধিক নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷