২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রতিটি দীপাবলি সেনা জওয়ানদের সঙ্গে কাটান প্রধানমন্ত্রী৷ গত বছরও জম্মু কাশ্মীরের নওশেরা সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি৷ এ বছরও কার্গিলে পৌঁছে সেনা
জওয়ানদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী৷ সেখানে সেনা জওয়ানদের সাহসিকতার প্রশংসা করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এসেছে তাঁর সরকারের আমলে অর্থনীতির উন্নয়ন, স্টার্ট আপ তৈরি, ইসরোর সাফল্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ এবং আত্মনির্ভর ভারতের কথা৷
advertisement
আরও পড়ুন: সরযূ নদীর ঘাটে ১৮ লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে দীপোৎসবের সূচনা প্রধানমন্ত্রীর, আজ অযোধ্যা আলোকজ্জ্বল...
সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, 'কার্গিল ভারতীয় সেনার বীরত্বের সাক্ষী৷ আপনারা সীমান্তের প্রহরীর দেশের মজবুতির স্তম্ভ৷ আপনারা আছেন বলেই দেশবাসী নিশ্চিন্তে থাকেন৷'
এর পরেই তাঁর সরকারের আমলে কীভাবে সীমান্তে সেনাবাহিনীর জন্য পরিকাঠামো থেকে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, 'সেনা জওয়ানদের সময় মতো প্রয়োজনীয় রসদ অনেক দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হচ্ছে৷ এসব দেখলে সেনা জওয়ানরাও অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন৷ যখন তিনি দেখেন যে তাঁর বাড়িতে ফোনে কথা বলা সহজ হয়েছে, বাড়ি ফিরতে সময় কম লাগছে৷'
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে ৩৬টি উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে উড়ান ইসরোর সবথেকে ভারী রকেটের! দেখুন
সেনা জওয়ানদের সামনে দেশের অর্থনীতির উন্নতির কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, 'দেশের অর্থনীতি দশ থেকে পাঁচ নম্বরে পৌঁছেছে৷ আপনাদের মতো যুবা সীমান্ত সামলাচ্ছেন, আর আপনাদের মতোই যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা আশি হাজার স্টার্ট আপ খুলে ফেলেছে৷ দু' দিন আগে ইসরো একসঙ্গে ৩৬টি নতুন উপগ্রহ মহাকাশে পাঠিয়েছে৷ এসব শুনলে সেনাকর্মীদেরও গর্বে বুকের ছাতি চওড়া হয়ে যাবে৷'
দুর্নীতির বিরুদ্ধেও তাঁর সরকারের কড়া অবস্থানের কথা কার্গিলে দাঁড়িয়ে বলেছেন মোদি৷ দাবি করেছেন, দুর্নীতিপরায়ণরা যত শক্তিশালী হোক না কেন, কেউ পার পাবে না৷ সন্ত্রাস, নকশাল, চরমপন্থার বিরুদ্ধেও তাঁর সরকার কতটা কড়া অবস্থান নিয়েছে, তাও তুলে ধরেছেন৷ দাবি করেছেন, দেশেই এখন তৈরি হচ্ছে সেনাবাহিনীর বহু অস্ত্র৷ যে অস্ত্র হাতে যুদ্ধক্ষেত্রে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন দেশের সেনা জওয়ানরা৷