১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন পি ভি নরসিমহা রাও৷ ভারতীয় অর্থনীতিতে তাঁর হাত ধরেই উদার হয়েছিল বলে দাবি করা হয়৷ ১৯৭৯ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলানো চরণ সিং শ্রমিক এবং কৃষকদের অধিকার নিয়ে লড়াইয়ের কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাঁকে৷ ভারতের সবুজ বিপ্লব জনক বলা হয় বিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বাড়িতে আগুন, ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি
প্রধানমন্ত্রী এ দিন এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও গারুকে ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত করা হবে৷ একজন বিশিষ্ট রাষ্ট্রনেতা এবং পণ্ডিত হিসেবে তিনি বিভিন্ন ভূমিকায় দেশের সেবা করেছেন৷ তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব ভারতীয় অর্থনীতিকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে দিয়েছিল, যা দেশের সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ভিত তৈরি করে দেয়৷’
প্রধানমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘আমাদের দেশের সৌভাগ্য যে আমরা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চরণ সিংকেও ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত করছি৷ দেশের প্রতি তাঁর অতুলনীয় অবদানের জন্যই তাঁকে এই সম্মান দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি তাঁর গোটা জীবন কৃষকদের অধিবার এবং উন্নতির জন্য নিবেদিত করেছিলেন৷’
গত সপ্তাহেই বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে ভারত রত্ন দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ তার আগে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরি ঠাকুরকেও মরণোত্তর ভারত রত্ন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়৷
লোকসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে ভারত রত্ন প্রাপকদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে, তার মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভারসাম্যের রাজনীতিই করছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের৷ মোদি সরকারের আমলেই প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কেও ভারত রত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল৷ ফলে তাঁর সরকার বিরোধী মতাদর্শের রাজনৈতিক নেতাদের সম্মান এবং স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক রং দেখে না, সেই দাবিই আরও জোরাল ভাবে পারবেন নরেন্দ্র মোদি৷