এ রাজ্যে জোটের একমাত্র বিধায়ক তথা ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান নওসাদের চিঠির বয়ান এই রকম, ''মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাধীনতার ৭৫তম বছরে আমি শ্রদ্ধা নিবেদন করি সেইসমস্ত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যাঁরা লড়াই করেছেন দেশের মুক্তির জন্য। আমি স্মরণ করি ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী তাঁদের মহান চিন্তাধারাকে। আমাদের কাছে এটি অতি আনন্দের ও গর্বের বিষয় যে আমরা স্বাধীনতার ৭৫ তম বার্ষিকী উদযাপন করছি। এই উপলক্ষে স্বরাষ্ট্র দফতরের হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি, যে নোটিসটি ৮ই অগাস্ট ২০২২ তারিখে জনসমক্ষে ইস্যু হয়েছে সেটা দেখেছি।
advertisement
আরও পড়ুন: তালিকা তৈরি, এবার গরুপাচারে 'জড়িত' পুলিশকর্মীদের ডাক পড়বে! অনুব্রতকে ঘিরছে সিবিআই
এরপরে তিনি লিখেছেন, "অত্যন্ত বেদনা ও ক্ষোভের সঙ্গে জানাই যে গত বছর ১৫ই অগাস্ট আমার বিধানসভা এলাকা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে (বারুইপুর পুলিশ জেলা) তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত সমাজবিরোধী-দুষ্কৃতিরা আমাকে বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধা দিয়েছিল।জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে পুকুরে ফেলে দিয়েছিল৷ জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময়ও বাধা দিয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ থানাতে জানানো সত্ত্বেও তারা দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এ বছর ২৬শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনও এই দুষ্কৃতিরা বাধা দিয়েছে। তারা বহু স্থানে জাতীয় পতাকা তুলতে দেয়নি, জাতীয় সঙ্গীত গাইতেও বাধা দিয়েছে। আইএসএফ সমর্থকদের মারধর করা হয়, তাদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়, এমনকি গুলিও চালানো হয়।"
তাঁর অভিযোগ, "গত বছর ২ মে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর থেকেই রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা বিরোধীদলের ওপর লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে। বারুইপুর পুলিশ সমেত বিভিন্ন থানায় বহু অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোন সুরাহা হয়নি। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিয়েছি। কমিশনের একটি দল কয়েকমাস আগে কিছু স্থান পরিদর্শন করেছে। আমি আশা করি কলকাতা হাইকোর্ট আমাদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।"
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের আগে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ, কলকাতার কড়া নিরাপত্তায় একাধিক নাকা চেকিং
শেষে তিনি লেখেন, "গতবছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে ওই এলাকার মানুষদের গ্রামে, গ্রামে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিন। আপনাকে স্বাধীনতা দিবসের আগাম শুভেচ্ছা।"