প্রশাসনের তথ্যমতে, এই মৃত্যুর সঙ্গে সীমান্তবর্তী জেলায় গত পাঁচ দিনে দুটি পরিবারের সাত সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। রবিবার একই ধরনের পরিস্থিতিতে একজন ব্যক্তি এবং তার তিন সন্তানের মৃত্যু হয়েছিল। রাজৌরির ডেপুটি কমিশনার অভিষেক শর্মা এই মৃত্যুগুলোর ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মেয়েকে যৌন হেনস্থা! কুয়েত থেকে দেশে ফিরে চরম প্রতিশোধ বাবার
advertisement
প্রশাসনের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকালে খাওয়াস এলাকার বদহাল গ্রাম থেকে তিন ভাই-বোনকে কোটরাঙ্কা সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সাত বছর বয়সি নাজিয়া কওসার মারা যান, এবং তার দুই বড় ভাই ইশতিয়াক (৯) ও আশফাক (১১)-কে বিশেষ চিকিৎসার জন্য সরকারি মেডিক্যাল কলেজ (জিএমসি) হাসপাতালে পাঠানো হয়। জিএমসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইশতিয়াকেরও মৃত্যু হয়।
প্রশাসন আরও জানিয়েছে, রুকসার (১২) এবং তার মা শামীম আখতার জম্মুর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রুকসারের মৃত্যু বৃহস্পতিবার দুপুরে হয়। রুকসারের বাবা ফজল হুসেন এবং তার তিন সন্তান রাবিয়া কওসার (১৫), ফারমানা কওসার (১২) এবং রাফতার আহমেদ (৪)-এর মৃত্যু রবিবার হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের মতোই দেউলিয়া হওয়ার পথে বাংলাদেশ! দেশ পাল্টে ভারতে আসতে চাইছে একাধিক বড় ব্র্যান্ড?
অস্বাভাবিক মৃত্যুগুলিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের পরিচালক রাকেশ মাগোত্রা এই মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের জন্য চার সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করেছেন।
প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দলটি শুক্রবার জেলাটি পরিদর্শন করবে। শর্মা শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।

