সূত্রের খবর, নাভা শেভা এলাকায় অটল বিহারী বাজপেয়ী ট্রান্স হারবার লিঙ্ক ব্রিজ (অটল সেতু) থেকে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন ৫৭ বছর বয়সি ওই মহিলা। নীচেই আগ্রাসী সমুদ্র। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঝাঁপিয়ে পড়লেন মহিলা। তার পরই ক্যাব চালক ব্রীজের ফোকরের মধ্যে দিয়ে হাত গলিয়ে তাঁর চুল ধরে ফেললেন কোনও মতে। ট্রাফিক পুলিশরাও চলে এলেন এর পর। সম্মিলিত চেষ্টায় টেনে তোলা হল মহিলাকে।
advertisement
পুলিশ জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রিপোর্ট অনুসারে, মুলুন্ডের বাসিন্দা সেই মহিলা ৩১ বছর বয়সি ক্যাবচালক সঞ্জয় যাদবকে ব্রিজের উপর ক্যাব থামাতে বলেছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে মহিলাটি অটল সেতুর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বসেছিলেন। এর পরেই তিনি সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল বলে জানা যায়। ব্রিজের উপর গাড়ি থামতেই ছুটে আসে পুলিশ।
পুলিশ কর্তা বলেন, “পুলিশকে সতর্ক করার পরে, একটি টহল গাড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ যখন তাঁর কাছে যায়, তখন তিনি ভারসাম্য হারিয়ে সমুদ্রে পড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ক্যাবচালক এবং ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা ঠিক সময়েই তাঁকে ধরে ফেলেন”।
পুলিশ কনস্টেবল ললিত অমরশেট, কিরণ মাহাত্রে, যশ সোনাওয়ানে সমন্বিত দলটি রেলিংয়ের উপরে উঠেছিল। ক্যাবচালকের হাতে তখনও ধরা ছিল চুলের গোছা। তড়িঘড়ি সেই মহিলার হাত এবং কোমর ধরে ফেলেন পুলিশরা। সম্মিলিত চেষ্টায় তাঁকে টেনে তোলার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়।
এর পর ওই মহিলাকে নভি মুম্বইয়ের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদেরও সতর্ক করা হয়। নাভা শেভা পুলিশকে দেওয়া বিবৃতিতে মহিলা দাবি করেছেন, কিছু আচারের অংশ হিসাবে দেবতার ছবি ভাসাতে চেয়েছিলেন জলে।
এর আগে জুলাই মাসে, একজন ৩৮ বছর বয়সি এক ইঞ্জিনিয়ার আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত হয়ে মানসিক চাপে অটল সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।