২০১৫ সালে নিম্ন আদালত এই ১২ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছিল৷ কিন্তু বিচারপতি অনিল কিলোর এবং বিচারপতি শ্যাম চন্দকের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন রায় দিতে গিয়ে জানায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণেই ব্যর্থ হয়েছে সরকার পক্ষ৷
২০০৬ সালের ১১ জুলাই পশ্চিম মুম্বইয়ে লোকাল ট্রেনের সাতটি কামরায় বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ আহত হয়েছিলেন ৮২৪ জন৷
advertisement
আট বছর শুনানির পর মুম্বইয়ের একটি এমসিওসিএ আদালত অভিযুক্ত বারো জনের শাস্তি ঘোষণা করেন৷ তাঁদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছিল৷
নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করার জন্য হাইকোর্টের থেকে অনুমোদনের প্রয়োজন ছিল৷ সেই অনুমোদন পেতেই বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মহারাষ্ট্র সরকার৷ সাজাপ্রাপ্তরাও নিম্ম আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন৷ ২০২১ সালে করোনা অতিমারির সময় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়৷
২০২৪ সালের জুলাই বম্বে হাইকোর্ট বিচারপতি কিলোরের নেতৃত্বে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে৷ গত ছ মাস ধরে নিয়মিত শুনানির পর রায় সংরক্ষিত রেখেছিলেন বিচারপতিরা৷ এ দিন সেই রায় ঘোষণা করা হয়৷
সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি দেন, সরকার পক্ষের দায়ের করা মামলায় যে যুক্তিগুলি দেওয়া হয়েছে তা ঠিক নয় এবং নিম্ন আদালত রায় দিতে গিয়ে ভুল করেছে৷ যদিও সরকার পক্ষের আইনজীবীর দাবি ছিল, এই ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম৷ ফলে নিম্ম আদালতের দেওয়া শাস্তিই বহাল রাখা হোক৷