পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ছাত্রকে বেশ কয়েক দিন ধরে ইনস্টাগ্রাম-সহ সোশ্যাল মিডিয়ার অন্য প্ল্যাটফর্মে যৌনগন্ধী মেসেজ পাঠাচ্ছিলেন ওই শিক্ষিকা৷ ক্রমে চ্যাট থেকে শুরু হয় ভিডিও কল৷ অভিযোগ, সেই ভিডিও কলেই অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখা যেত ওই শিক্ষিকাকে৷ বেশ কিছু দিন ধরে এই ভিডিও কল চলার পর অবশেষে বাবা মায়ের কাছে সব কথা জানায় ওই ছাত্র৷ এর পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রের বাবা মা৷ তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষিকার দুষ্কর্মে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ওই ছাত্র৷ পুলিশি হেফাজতে নিয়ে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
advertisement
অভিযুক্ত শিক্ষিকার ফোন আটক করেছে পুলিশ৷ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তিনি আগেও এ ধরনের কাজ করেছেন কিনা, অনুসন্ধান করছে পুলিশ৷ সম্প্রতি মুম্বইয়ে আর একটি নামী স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযোগ,৪০ বছর বয়সি ওই শিক্ষিকা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করেছেন ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরকে৷
যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা পুলিশকে জানিয়েছে যে, স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে তিনি কিশোরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু শিক্ষিকার দাবি, ছাত্রটি প্রথমে অনিচ্ছুক ছিল এবং তাঁকে এড়িয়ে চলত। তাই শিক্ষিকা ওই ছাত্রের এক বান্ধবীর কাছে সাহায্যের জন্য যান। অভিযুক্তের ওই বান্ধবীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানতে পেরেছে যে ওই বান্ধবী নাবালক ছাত্রের কাছে গিয়ে তাকে বলেছিল যে বেশি বয়সি মহিলা এবং কিশোর ছেলেদের মধ্যে সম্পর্ক ইদানীং “বেশ সাধারণ হয়ে উঠেছে”। অর্থাৎ এই অসমবয়সি সম্পর্কে আগ্রহী হওয়ার জন্য কিশোরকে পরোক্ষে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করেছিল তার ওই বান্ধবী৷