সম্প্রতি ডিরেক্টরেট অফ টেকনিক্যাল এডুকেশনকে মুম্বইয়ের চারনি রোডের ওই গার্লস হোস্টেলের এক ছাত্রী লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন৷ সেই অভিযোগ পত্রেই এই কথা জানিয়েছেন ওই ছাত্রী৷
এমনকি, ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কিছুদিন আগে থেকে হস্টেল ক্যাম্পাসের সিসি ক্যামেরা বিকল হয়ে গিয়েছিল৷ তারপরেও হস্টেল চত্বরের মধ্যেই রাতে কানোজিয়াকে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ৷
advertisement
গোটা ঘটনায় হস্টেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন ওই ছাত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, খাবার বা অন্যান্য পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলেই হস্টেলের ওয়ার্ডেন বা ম্যানেজমেন্টের সদস্যেরা তাঁদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করতেন৷ তাঁদের জামাকাপড়ের পছন্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন৷ এমনকি, স্লিভলেস জামা পরলেও সেটা নিয়ে প্রকাশ্যে মহিলাদের চরিত্র হনন করা হত৷
মঙ্গলবার সন্ধেবেলা দক্ষিণ মুম্বইয়ের চারনি রোডের ওই সরকারি হস্টেলের ৫ তলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় বছর আঠেরোর এক ছাত্রীর মৃতদেহ৷ তাঁর গলায় ওড়না জড়িয়ে তাঁকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করা হয়েছিল৷ খুনের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানিয়েছে পুলিশ৷
হস্টেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায়, ঘটনার দিন, অর্থাৎ, সোমবার ভোর ৪টে ৫৫ নাগাদ কাপড়ের একটি বান্ডিল নিয়ে হস্টেলের সিকিওরিটি গার্ড প্রকাশ কানোজিয়া হস্টেল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল৷ পরে তার দেহ উদ্ধার হয় অভিযুক্তের দেহ৷ এই কানোজিয়াই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বলে অভিযোগ৷ প্রসঙ্গত, এই কানোজিয়া ওই হস্টেলের সিকিওরিটি গার্ড হওয়ার পাশাপাশি হস্টেলের লন্ড্রিরম্যানের কাজও করতেন৷