আইনকে কীভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়? জেলে বসেই দেখিয়ে দিচ্ছে নির্ভয়ার ৪ আসামী। প্রতিদিন নতুন নতুন ফন্দি ফিকির খুঁজে আদালতে মামলা করছে ৪ জন।
রায় পুনর্বিবেচনার আরজি খারিজ হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনও নাকচ। এই অবস্থায় নতুন অজুহাতে সুপ্রিম কোর্টে গেল অন্যতম দোষী সাব্যস্ত মুকেশ সিং। মুকেশের আইনজীবীর আবেদন,
advertisement
তিহার কর্তৃপক্ষ মুকেশকে প্রয়োজনীয় নথি দেয়নি। তাই সে রাষ্ট্রপতির সামনে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারেনি বলে জানিয়েছে মুকেশের আইনজীবী ৷
এই আবেদন আদালতে খারিজ হলেও নতুন করে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে চলেছে মুকেশ।
একই অভিযোগ, অর্থাৎ নথি না পাওয়ার অজুহাতে শুক্রবার পাতিয়ালা হাউস কোর্টে মামলা করে বিনয়, পবন ও অক্ষয়। শনিবার শুনানি তিহাড় কর্তৃপক্ষ সা জানায়, আগেই দোষী সাব্যস্ত ৪জন যাবতীয় নথি দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরারা পালটা জানায়, বিনয়ের ডায়েরি, ছবি আঁকার খাতা, কয়েকটি চিঠি হাতে পায়নি তারা। শুনানিতে বিচারকের প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়েন বিনয়দের আইনজীবী।
মামলা খারিজ করে নিম্ন আদালত ৷ মুকেশ ছাড়া বাকি তিনজন এখনও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি। বাকি তিনজনের সামনে এখনও আবেদন করার সুযোগ রয়েছে ৷ অক্ষয় ও পবনের সামনে রায় সংশোধনের আরজি জানানোর রাস্তা খোলা ৷
এই অবস্থায় পয়লা ফেব্রয়ারি ৪ জনকে ফাঁসি দেওয়া যাবে কি? সংশয় থাকছেই। প্রশ্ন উঠছে, এতকিছু পরও আইনের ওপর মানুষের বিশ্বাস থাকবে তো?
আইন বিশেষজ্ঞরা মেনে নিচ্ছেন, আইনি ব্যবস্থায় প্রচুর ফাঁকউফোকর। সেটাই কাজে লাগাচ্ছে নির্ভয়ার আসামীরা।