বুধবার সংস্থার তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে গত ২০ বছরে প্রতি বছর ৮৭ হাজার কোটি টাকার হিসেবে বিনিয়োগকারীদের ঘরে উঠেছে ১৭.৪ লক্ষ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে রিলায়েন্স বিশ্বের বৃহত্তম সংস্থাগুলির কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে।
আরও পড়ুন- আগামী ১০ বছরে ৫০ হাজার পড়ুয়াকে স্কলারশিপ, বড় ঘোষণা রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের
advertisement
ফেসবুক, গুগল এবং বিপির মতো বড় কোম্পানি রিলায়েন্সে বিনিয়োগ করেছে। দেশের সবচেয়ে বড় এই কোম্পানির সাফল্যের গল্পের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় নিজের হাতে লিখেছেন মুকেশ আম্বানি। তেলের ব্যবসা দিয়ে শুরু করে সংস্থা টেলিকম এবং খুচরো ব্যবসায় প্রবেশ করে ধীরে ধীরে। সাফল্যও আসে।
মুকেশ আম্বানিই প্রথম ডেটাকে 'নিউ অয়েল' বলে অভিহিত করেছিলেন। সেই ডেটা আজ দেশের সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন বদলে দিয়েছে। মুকেশ আম্বানি বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম সংস্থাগুলির মধ্যে একটি (রিলায়েন্স জিও) সূচনা করেছিলেন।
Jio-এর আবির্ভাবের পর দেশে ডিজিটাল দুনিয়ায় যে বদল হয়েছে তা দেখে গোটা বিশ্ব হতবাক। আজ ভারতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিজিটাল লেনদেনের রেকর্ড রয়েছে। তাতে অবদান রেখেছে রিলায়েন্স জিও।
RIL জানিয়েছে, যে ডেটা প্রতি GB ২৫০ টাকা হারে পাওয়া যেত, Jio আসার পর সেটা প্রায় ১০ টাকায় নেমে এসেছে। দেশের মানুষ ডেটা খরচের ক্ষেত্রেও বিরাট রেকর্ড করেছে। এক্ষেত্রে ২০১৬ সালে ১৫০ তম স্থান থেকে ভারত বিশ্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন- দুর্নীতির ভুরিভুরি অভিযোগ, নতুন বছরে বদলাচ্ছে নিয়ম, ১০০ দিনের কাজে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
রিটেল সেক্টরেও রিলায়েন্স বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চলেছে। অনলাইন হোক বা অফলাইন, খুচরা হোক বা পাইকারি ব্যবসা, মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বে রিলায়েন্স নিজেদের দখল আরও শক্তিশালী করেছে।
গত বছর একদিনে সাতটি স্টোর খোলার রেকর্ড গড়েছিল রিলায়েন্স রিটেল। মুকেশ আম্বানি ইতিমধ্যেই ভবিষ্যতের রিলায়েন্সের স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছেন। জামনগরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে পাঁচটি গিগা কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে। রিলায়েন্স সৌর শক্তি এবং সবুজ হাইড্রোজেনের মতো নতুন শক্তির উত্সগুলি নিয়েও কাজ করছে।