মহররমের প্রথম দিন থেকে নবম দিনের মধ্যে যে কোনও দিন কবরের এই প্রতিরূপ অর্থাৎ তাজিয়া বাড়িতে আনা যাবে। এটি দাফন করা হয় বা কবর দেওয়া হয় আশুরার দশম দিনে, যেদিন ইমাম হোসেন প্রয়াত হন। তাজিয়াত মানে মৃত ব্যক্তির প্রতি নিজের সমবেদনা, শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা জানানো।
আরও পড়ুন- সনিয়াকে ফোন নীতিশের, বিজেপি- জেডিইউ বিচ্ছেদ কি সময়ের অপেক্ষা! জল্পনা তুঙ্গে
advertisement
অন্য অর্থে, তাজিয়া আসলে সেই প্রতীককে যাকে কেন্দ্র করে কারবালার ঘটনাটি আবর্তিত হয়। তাজিয়া আজাখানার ভিতরে স্থাপন করা হয়, যা সাধারণত ইমামবাড়া নামে পরিচিত। এটি আসলে এমন একটি কাঠামো যা বিশেষভাবে মহরমের জন্যই তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন- হাতেও বাঁধবেন, খেয়েও ফেলবেন! কেক, চকোলেট কুকিজ রাখির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে
মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ তাজিয়ার সঙ্গে একটি মিছিলও বের করেন, হায় হাসান হায় হুসেন বলে মৃত্যু শোককে পালন করেন। তাজিয়ার আগমন এই শোকের সূচনার লক্ষণ। ইমামবাড়ায় তাজিয়া বসানোর পাশাপাশি ফুল ও আতর দিয়ে আজাখানাও প্রস্তুত করা হয়, এখানে মানুষ শোক জানান।
রঙিন কাগজ, ফুল, আলো এবং আয়না ব্যবহার করে তাজিয়া তৈরি করা হয়। বেশ কিছু জায়গায় তাজিয়া ও বাদ্যযন্ত্র ছাড়াও উট, হাতি, ঘোড়ার মতো পশুদেরও মিছিলে নিয়ে আসা হয়। এই বছর তাজিয়ার মিছিল শুরু হবে আজ, অর্থাৎ ৮ অগাস্ট।