২৭ বছরের মুথু জেএনইউয়ের সেন্টার ফর হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজে এম ফিল পড়তেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ও হতাশায় ভুগছিলেন তিনি ৷ সেই কারণেই তিনি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের ৷
ঘটনার কয়েকদিন আগেই ফেসবুক পোস্টে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু বিষয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে বৈষম্যের অভিযোগ এনেছিলেন তামিলনাড়ুর এই দলিত ছাত্র। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘MPhil/PhD অ্যাডমিশনে কোনও সমতা নেই। ’
advertisement
জানা গিয়েছে, রবিবার বন্ধুর ফ্ল্যাটে যান মুথু ৷ সেখানে খাওয়াদাওয়া করে একটি ঘরে ঘুমোতে চলে যান ৷ ঘরের দরজা বন্ধ করে দেনে ৷ এরপর বন্ধুরা ডাকাডাকি কলেও কোনও সারা মেলেনি ৷ এরপর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে ৷
তবে ঘটনায় কোনও সুইসাইড নোট এখনও মেলেনি ৷ তবে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন বন্ধু ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ৷
হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া রোহিত ভেমুলার ঘটনার সঙ্গে মুথুকৃষ্ণানের মৃত্যুরহস্যের মিল পাচ্ছেন অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করেনি। প্রাথমিকভাবে এই আত্মহত্যার সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষের যোগ আছে কি না, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়।
মুথুর রহস্যমৃত্যু তুলে দিল একাধিক প্রশ্ন। বর্ণবৈষম্য না অন্য কোনও কারণে চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দরিদ্র পরিবারের এই মেধাবি ছাত্রটি। এমফিল ও পিএইচডিতে ভরতির ক্ষেত্রে তোলা অভিযোগের পর মুথুর উপর কি কোনও চাপ তৈরি করা হয়েছিল? মুথুর ফেসবুক ঘেঁটে মৃতুরহস্যের সমাধান করতে চাইছে দিল্লি পুলিশ।