খবরটা পেয়ে রোশনি ভাদোরিয়ার চোখের কোণ চিকচিক করছ। ওর স্বপ্ন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে আইএএস অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার।
মধ্যপ্রদেশের চম্বল অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম আজনল। রোশনির বাবা পুরুষোত্তম ভাদোরিয়া সেখানেই ক্ষেতমজুরের কাজ করেন। গ্রাম থেকে স্কুলের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। মেয়ে সাইকেলেই গিয়েছে এতদিন। ২৪ কিলোমিটার যাতায়াতের ক্লান্তি বা দারিদ্রের চাপ, কিছুতেই এতটুকুও টোল খায়নি তার অভিনিবেশ। মাধ্যমিকে অষ্টম হয়েছে সে। এখন মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য একটা পরিবহণের ব্যবস্থা করাই তাঁর জন্য চ্যালেঞ্জ।
advertisement
পুরুষোত্তম সংবাদসংস্থাকে বলেন, "মেয়েটা অন্য স্কুলে পড়ত ক্লাস এইট পর্যন্ত। সেখানে বাসের সুবিধেও ছিল। কিন্তু তারপর হাইস্কুলে ভর্তি হয়। সেখানে যাওয়ার কোনও গণপরিবহণ নেই। তাই এতদিন সাইকেল চালিয়েই স্কুল করেছে ও।"
মেহেগাও গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলের প্রিন্সিপাল হরিশচন্দ্র শর্মা তাঁদের ছাত্রীর এই রেজাল্টে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত। তিনিও চান, রোশনির আইএএস হওয়ার স্বপ্ন যেন সাকার হয়।