স্বামীর মৃত্যু হয়েছে কয়েক বছর আগে। সংসারের হাল ধরতে কাজ শুরু করেন তিনি। স্থানীয় কর্পোরেশনে স্যানিটেশনের কাজ করেন। আর সেখান থেকে উপার্জনের টাকা দিয়েই সংসার চালান। এদিকে ছেলে পড়াশোনা শেষ করার আগেই ছেড়ে দেয় এবং তার পর নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
নেশার টাকা জোগাতে প্রায় প্রতি দিনই মায়ের সঙ্গে অকথ্য আচরণ করত ভেল্লেপু সিদ্ধার্থ (১৭)। এই নিয়ে দু'জনের ঝামেলায় হত প্রায় দিন।
advertisement
ঘটনার সূত্রপাত হয় শনিবার। কাজ সেরে প্রতি দিনের মতোই বাড়ি ফেরেন সোমলতা (৪৩)। এবং রোজকার মতো মতো ছেলের সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়। প্রতিবেশীরা জানান, রাতের দিকে খুব বেশি চিৎকারের আওয়াজ পান তাঁরা। আর তার পর দেখা যায়, ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন সোমলতা এবং তাঁকে বলতে শোনা যায়- "অবশেষে আমি মুক্তি পেলাম"!
প্রতিবেশীদের সন্দেহ হতে তাঁরা বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেখেন, সিদ্ধার্থ মাটিতে পড়ে আছে। পুলিশ এসে জানায়, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নাগারামপালেম থানার পুলিশ এর পর 302 ধারায় খুনের মামলা রুজু করেছে।
ঘটনার পর থেকে সোমলতা পলাতক। তাঁকে খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। এলাকায় চলছে তল্লাশি।
তবে, এটাই প্রথম নয়। এর আগেও গাঁজা খাওয়ার জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। গত বছরের অগস্টে বিহারে ২৩ বছরের এক যুবক এই নিয়ে ঝামেলার জেরে তার মা'কে খুন করে। পরে জেরায় পুলিশ জানতে পারে মাত্র ৫০ টাকার জন্য মা'কে খুন করেছিল সে।
গত কয়েক বছরে এই ধরনের একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। AIIMS-এর করা এক সমীক্ষায় ২০১৯ সালে দেখা যায়, নেশার সঙ্গে এই সাইকোঅ্যাকটিভ সাবস্ট্যান্স অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে যাদের মধ্যে অ্যালকোহল, গাঁজার নেশা রয়েছে, তাদের মধ্যে এই ধরনের কাজ বেশি দেখা গিয়েছে।
গাঁজা নিষিদ্ধ হলেও প্রচুর জায়গায় চোরা পথে গাঁজা বিক্রি হয়। একাধিক সচেতনতা শিবির থেকে বার্তা দেওয়া হলেও এই পরিস্থিতিতে তেমন পরিবর্তন আসেনি। তবে, এই নিয়ে বহু সংস্থা কাজ করছে। নেশা ও মানসিক সমস্যা নিয়েও কাজ চলছে।
-Written By: Gargi Das