আগরতলায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য এম সিন্ধিয়ার উপস্থিতিতে আয়োজিত ব্যাঙ্কার্স কনক্লেভে অংশ নিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রীরা।
আরও পড়ুন ডিগ্রির বালাই নেই, জমিয়ে চলছে বাবা-ছেলের চিকিৎসা ‘ব্যবসা’! ক্লিনিকের খোঁজ পেতেই পুলিশের জালে
অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, রাজ্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ গ্রাম এলাকায় ব্যাঙ্কের সুবিধা রয়েছে। যা ৫ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় মোট ১০ লক্ষ ৮৩ হাজার ব্যাঙ্ক একাউন্ট খোলা হয়েছে। যেগুলিতে ৬১৭ কোটি টাকা জমা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনায় প্রতিটি একাউন্টে ৫,৭০২ টাকা রয়েছে, যেখানে জাতীয় গড়ে রয়েছে ৪,৩৫৭ টাকা। ফ্ল্যাগশিপ স্কিমগুলিতে ১০০ শতাংশ সাফল্য পাওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে রাজ্য সরকার। এরমধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বীমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বীমা যোজনা, অটল পেনশন যোজনা, মুদ্রা যোজনা, স্ট্যান্ডআপ স্কিম, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা সহ ইত্যাদি। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলা ও ব্লকে এটিএম এর সুবিধা রয়েছে। রাজ্যের স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কর্স কমিটি ২০২১ – ২২ অর্থবর্ষে অটল পেনশন যোজনায় এওয়ার্ড অফ অ্যাক্সেলেন্স সম্মান পেয়েছে।
advertisement
বক্তব্যে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের রাজ্যে ৫৮টি ব্লকেই ফিনান্সিয়াল লিটারেসি সেন্টার কাজ করছে। বিজনেস করেসপন্ডেন্টগণ রাজ্যের আর্থিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। কৃষি ক্ষেত্রে বিকাশের লক্ষ্যে ঋণ প্রদান করছে ব্যাঙ্কগুলি। বেকার যুবদের স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যে মুদ্রা লোন প্রদান করছে ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থাগুলি। রাজ্যের আর্থিক অগ্রগতির ক্ষেত্রে ক্রেডিট ডিপোজিট রেসিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর পাশাপাশি সিডি রেসিও বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলিও বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।